মাথাভাঙ্গা মনিটর: লিওনেল মেসি তার বুকের মধ্যেই আছেন। আদরের সন্তানকেও তো কখনো কখনো ভীষণ বকে দেন বাবা। সেই সন্তানের সামান্য অসুস্থতা কিংবা মন খারাপে বাবাকেই দেখা যায় সবচেয়ে কাতর। মেসি যখন জাতীয় দল থেকে শূন্য হাতে আবারও ফেরার পর বিদায়ই বলে দিয়েছেন, ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মনে হচ্ছে সবচেয়ে আবেগপ্রবণ। আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি বলেছেন, মেসি যেয়ো না। মেসি চলে গেলে যে আর্জেন্টিনা দল ছন্নছাড়া হয়ে পড়বে। মেসিকে এখনো ভীষণ প্রয়োজন জাতীয় দলের। অন্তত ২০১৮ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
আর্জেন্টিনার লা ন্যাসিওনকে ম্যারাডোনা বলেছেন, মেসিকে আর্জেন্টিনা দলে থাকতেই হবে। রাশিয়ায় ও সেরা ফর্মে থেকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই যাবে। ওকে বেশি নির্ভর করতে হবে সেসব ছেলের ওপর, যারা আর্জেন্টিনা দলকে সত্যিই এগিয়ে নেবে। আর তাদের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে কবে, যারা বলছে তাদেরও চলে যাওয়া উচিত। মেসির বিদায় ঘোষণার পরপর আর্জেন্টিনার আরও একগাদা খেলোয়াড় অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। যদিও তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এ খবর ম্যারাডোনার কানেও গেছে। কিন্তু বাকি খেলোয়াড়দের সবার ওপর ম্যারাডোনার কোনো অনুকম্পা নেই। তিনি বরং পাল্টা সমালোচনার চাবুক ছুড়ে বলেছেন, আমরাও চলে যেতে চাই’ জাতীয় কথাবার্তা বলে ওই খেলোয়াড়েরা নাকি সহমর্মিতা কুড়ানোর চেষ্টা করছেন!
ম্যারাডোনার সাফ কথা, যারা বলছে ওর চলে যাওয়া উচিত, তারা এমন করছে, যেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের যে জঘন্য অবস্থা, তা যেন আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। টানা তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলে কী হবে, এটিকে মোটেও সাফল্য হিসেবে মানতে রাজি নন ম্যারাডোনা। মাঠের বাইরে আর্জেন্টিনার ফুটবলে চলছে আরেক চরম অব্যবস্থাপনা। ফাইনালের আগমুহূর্তে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার (এএফএ) প্রধানের পথ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে সেগুরাকে। এর আগে এএফএতে হাস্যকর একটা নির্বাচন হয়েছে। ম্যারাডোনা মনে করেন, সামর্থ্য থাকার পরও আর্জেন্টিনা কাঙ্ক্ষীত সাফল্য না পাওয়ার আসল কারণ এ ক্ষমতালোভী ফুটবল প্রশাসকেরা, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলে যা ঘটে চলেছে, তাতে আমি সত্যিই খুবই ব্যথিত আর ক্ষুব্ধ। আমরা একেবারে তলানিতে পৌঁছে গেছি। কোপার শুরুর দিকে ম্যারাডোনা মেসির নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরপর আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, এবার কোপা জেতার সবচেয়ে ভালো সুযোগ। কোপা জিততে না পারলে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের দেশে ফেরার দরকার নেই।