স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গৌরীহ্রদ গ্রামের গৃহবধূ হাওয়া খাতুন (২৫) নবজাতক প্রসবের ২ দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছে।
গৃহবধূ হাওয়া খাতুন আলমডাঙ্গা গ্রামের গৌরীহ্রদ গ্রামের শামীম হোসেনের স্ত্রী। হাওয়া খাতুন একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। এটি তাদের প্রথম সন্তান। প্রথম সন্তানের জন্মের পর হাওয়া খাতুন ২ দিনের মধ্যে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
এদিকে, প্রসবের পর মায়ের মৃত্যুতে সচেতন মহলে নানারকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ধরনের মৃত্যু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জনের কাছে দাবি করেছে।
শামীমের বড় ভাই রুহুল আমিন জানান, গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতাল রোডের রাজধানী ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে গৃহবধূ হাওয়া খাতুন একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। এরপর হাওয়া শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনুভূত হলে চিকিৎসক ডা, নুরুদ্দিন রুমি রেফার্ড করেন। হাওয়াকে দ্রুত কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসকরা চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে জানালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। গতকাল শনিবার রাজশাহী নেয়ার প্রস্তুতিকালে হাওয়া কুষ্টিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর মরদেহ গৌরীহ্রদ গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
হাওয়া খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের আব্দুল হাদীর মেয়ে। গত ২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তার স্বামী শামীম বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। গতকালই গ্রামের কবরস্থানে হাওয়া খাতুনের দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।