ঝিনাইদহে নির্বাচন অফিসে ঘুষ বাণিজ্য : খবর রাখেন না ঊর্ধ্বতনরা!

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: জেলার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অফিসটিতে এখন টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। ভোটার তালিকায় নাম উঠান, সংশোধন ও স্থান পরিবর্তনসহ নানা কাজে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব কাজ অফিসে না করে শহরের তালতলায় বিশেষ একটি কম্পিউটারের দোকানে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে ১০০ টাকা দিয়ে ভোটররা কাজ করিয়ে আনছেন। আর এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও নির্বাচনী ট্রেনিংয়ের টাকা কর্তনের অভিযোগ ওঠেছে  দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ করেছেন কলেজ পড়‍ুয়া শিক্ষার্থীসহ অনেকেই।

জীবনে প্রথম ভোটার হতে গিয়ে এমন হয়রানি হতে হবে তা জানা ছিলো না বলে অভিজ্ঞতার কথা জানান, নাজমুল হাসান নামে এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী ডিউটিতে পছন্দের ব্যক্তিকে একাধিক নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। যার ফলে অধিকাংশ শিক্ষক নির্বাচনী ডিউটি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যাদেরকে ডিডটি দেয়া হয়েছে তারা জেলার পুর্বাঞ্চলে একবার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের কাছ থেকে ৫০০শ থেকে ৮০০শ টাকা পর্যন্ত করে নেয়া হয়েছে। এমনকি প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পছন্দের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।

মতিয়ার রহমান নামে এক শিক্ষক জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ সদরের পূর্বাঞ্চলে ইউপি নির্বাচনের সময় ওই অঞ্চলের শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন পশ্চিমের ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচন হলেও এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, তাদেরকে ঘুষ দিতে হয়েছে। শিক্ষকরা নির্বাচনী ডিডটিতে নাম না দেখে অফিসে যোগাযোগ করলেই তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০শ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। ডিডটির জন্য জনপ্রতি ২৫শ টাকার বরাদ্দ থাকলেও সেখান থেকে টাকা কেটে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। প্রধান শিক্ষককে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার করার নিয়ম থাকলেও কিছু শিক্ষককে পোলিং অফিসার করে অসম্মান করা হয়েছে এ অভিযোগ প্রধান শিক্ষকদের।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোখলেছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, টাকা নিলে অফিস সহকারী ও পিয়ন নিতে পারে। বিষয়টি আমার জানা নেই। এখানে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে না। বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিষয়টি পত্রিকায় না আসার জন্যও তিনি নানা স্থানে তদবির করেন।

Leave a comment