আদালতে হাজির না হলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
স্টাফ রিপোর্টার: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন পঞ্চম দফায় পিছিয়ে আগামী ২ জুন পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিন খালেদা জিয়াকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়ে হাজির না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিলো। তবে তিনি আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিন পেছাতে সময়ের আবেদন জানান, তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। শুনানি শেষে এ আবেদন মঞ্জুর করে ২ জুন পুননির্ধারণ করে আদালত। এর আগে গত ৭, ১৭ ও ২৫ এপ্রিল এবং ৫ মে আরো চার দফা সময়ের আবেদন জানিয়ে দিন পিছিয়ে নেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
নির্বাচনের জন্য ট্যাংক বানানো লাগবে: সিইসি
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা উপমহাদেশের সংস্কৃতি। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে প্রচুর সহিংসতা হয়েছে। বিদেশে কিন্তু আমরা এসব দেখি না। সেখানে নির্বাচন কেন্দ্র দেখিয়ে দিতে হয়তো একজন ট্রাফিক পুলিশ আছে। আর্মস (অস্ত্রধারী) পুলিশ ব্যাটালিয়ন থাকে না। আমাদের তো মনে হচ্ছে যে নির্বাচন করার জন্য ট্যাংক বানানো লাগবে! ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ইউনিট প্রধানদের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক করেন তিনি। পরবর্তী ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু করা নিয়ে বৈঠকটির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। বৈঠকের আগে ও পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের পরবর্তী ধাপে রাতে ভোটকেন্দ্র দখলের মতো বিশ্রী ব্যাপার কমে এসেছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপে একটিও হয়নি। চতুর্থ ধাপে আবার দু-একটি ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনে আশাবাদী যে আগের চেয়েও সামনের নির্বাচন আরও ভালো ও সুষ্ঠুভাবে করতে পারব।’
অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড: গ্রেফতার শিবির নেতার মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজির অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী মুকুল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত শিবির নেতা হাফিজুর রহমান মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত হাফিজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও মহানগরীর ১৯নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। রামেক মর্গে তার ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। রাজশাহী কারাগারের সিনিয়র সুপার জানান, শিবির নেতা হাফিজুর রহমান আগে থেকেই রক্ত স্বল্পতা রোগে ভুগছিলেন। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৭ মে তাকে রামেক হাসপতালের প্রিজনসেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।