ডায়াবেটিসে চিনির চেয়ে চাল বেশি ঝুঁকিপূর্ণ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ডায়াবেটিস ‘মহামারী’ আকার ধারণ করেছে জানিয়ে আগামী বছরগুলোতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক কার্যালয়।

ডায়াবেটিসের জন্য সাধারণত চিনি বা শর্করা জাতীয় খাবারকে দায়ী করা হয়। কিন্তু চিকিত্সকরা বলছেন, চিনি জাতীয় খাবারের চেয়ে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সাদা চাল। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জি ইয়ু ক্যাং বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের জন্য স্থূলতা এবং শর্করা জাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু ইন্দো-ইউরোপীয় দেশগুলোর চেয়ে এশিয়ার দেশগুলোতে এই ডায়াবেটিস নিয়ে বেশি আলোচনা হয় এবং আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। সাদা চাল খেলে শরীরে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বাড়ে এবং সাথে ডায়াবেটিসেরও উচ্চ ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।

জি ইয়ু ক্যাং অন্তত ৪টি গবেষণা থেকে এই তথ্য জানিয়েছেন। এই গবেষণা চালানো হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ মানুষের ওপর যাদের বয়স ৪ বছর থেকে ২০ বছর। হার্বার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর করা এই গবেষণাটি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে নিয়মিত এক প্লেট সাদা চাল খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১১ শতাংশ বাড়ে। দুই ক্যান কোমল পানীয়ের চেয়ে এক ডিশ সাদা চালের ভাতে দ্বিগুণ কার্বোহাইড্রেট আছে। কার্বোহাউড্রেট শরীরে শর্করায় পরিণত হয়। অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন উত্পন্ন করে এবং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সাদা চালের ক্ষেত্রে শর্করা খুব দ্রুত রক্তে পৌঁছে যায়। এর ফলে অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্রমকে কঠিন করে তোলে। এটা যখন প্রায়ই ঘটে তখন ইনসুলিন তৈরিতে অগ্ন্যাশয় দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে না। ফলে এই শর্করা কিডনির ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। কেবল চাল নয়, নুডলসেও অনেক শর্করা আছে। -দ্য স্ট্রেইটস টাইমস