দাউদ হোসেন, মহেশপুর প্রতিনিধি: মন বলতো আমি লিখবো কিন্তু আমি কি লিখবো নিজেই জানি না। এখন তার ২০টি নাটক, ১টি উপন্যাস, ১টি শিশুতোষ গ্রন্থ, ১৪০টি ছন্দময় কবিতাসহ ৩শ গানের গীতিকার প্রতিবন্ধী মোমিনুল ইসলাম ঝন্টু। মহেশপুর উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন বিশ্বাস ও মৃত সায়েরা খাতুনের ৩য় সন্তান অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ঝন্টু বিশ্বাস। তিনি ১৯৬৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন বাথানগাছি গ্রামে। ১৯৯২ সালে তিনি চৌগাছা মাসিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ছোট বেলা থেকেই কবিতা, ছড়া ও গান বানিয়ে লেখার অভ্যাস ছিলো তার প্রচণ্ড। ২০০৮ সালে ষ্টোক করে পঙ্গু হয়ে যায় এই প্রতিভাবান ঝন্টু বিশ্বাস। তার দুই মেয়ে তারা দুজনেই হাই স্কুলে লেখাপড়া করে। সাহিত্য চর্চা করতে সে পিছপা হয়নী। ঝন্টু মুখে বলে দেয় তার মেয়ে সুমাইয়া খাতায় লেখে। এ পর্যন্ত ২০টি নাটক, ১টি উপন্যাস, ১টি শিশুতোষ গ্রন্থ, (১০৫টি ছড়া), ১টি ছন্দময় কবিতার বই (১৪০টি কবিতা রয়েছে), ২টি গবেষণা পত্র ও ৩শ গানের গীতিকার আজ পাড়া গায়ের পল্লীতে প্রতিভা লুকিয়ে থাকলেও তার কেউ খোজ রাখে না। বাবার রেখে যাওয়া অল্প কিছু জমি-জমা দিয়ে যা আয় হয় তাই দিয়ে চলে ঝন্টুর সংসার। তার বাড়ীতে এক আলাপ চারিতায় ঝন্টু জানায়, মন বলতো আমি লিখবো কিন্তু কি লিখব আমি জানিনা তারপরও তার এই সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মিউজিক ডিরেক্টর গোলাম সরোয়ার তার ৩টি পাণ্ডুলিপি নিয়েছেন। তার লেখা গান এখন বিটিভিতে প্রচার হয়। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে তার রয়েছে গান ও কবিতা। তার লেখা গান ও কবিতা নিজের কন্ঠে আমাদেরকে আবৃতি করে শুনাই । ঝন্টুর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের সহযোগিতায় ঝন্টু হোমিও চিকিৎসা দিয়ে থাকে বাড়ীতে। সে জানায়, তার দুই মেয়ে ও তার দুই হাত যতোদিন বেঁচে থাকবে ততোদিন সাহিত্য চর্চা করে যাবো। এখন তার চেষ্টা তার লেখা পাণ্ডুলিপিগুলো দেশ ও জাতির স্বার্থে প্রকাশ করা এমন কোন হৃদয় বান ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি তার এ কাজে সহযোগিতা করে তার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।