স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর ঢাকার কলাবাগানের জোড়া খুনের ঘটনায় খুনিদের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হলেও তা শনাক্ত করা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, যারা হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত, তাদের ছবি স্পষ্ট নয়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, জব্দ হওয়া আলামত ও মোবাইল থেকে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্র ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমউদ্দিন সামাদ (২৭) হত্যা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য গত ২৭ এপ্রিল মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আবদুল্লাহ হেল বাকি জানান, মামলা সিআইডিতে এসেছে। এখন থেকে এ মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে। গত ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমউদ্দিন সামাদকে রাত ৮টার দিকে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের একরামপুরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে গত সোমবার বিকেলে কলাবাগানের ৩৫, উত্তর ধানমন্ডির আছিয়া নিবাস অ্যাপার্টমেন্টে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বি তনয়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গতকাল পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, মামলা দুইটি ছায়া তদন্ত চলছে। এদিকে গতকাল বিকেলে বাড্ডার আফতাবনগরে বিট পুলিশের এক অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, দিন-ক্ষণ বেঁধে মামলার তদন্ত হয় না। আমাদের সময় দিতে হবে। আমরা অবশ্যই খুনিদের খুঁজে বের করব। দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সবাইকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।