স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ে বাড়িতে ঝালপানি দিয়ে বরকে হাত ধোয়ানো নিয়ে মারামারি। বউ না নিয়ে বাড়ি ফিরেছে বরযাত্রী। মারামারিতে বরপক্ষের একজন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন বরপক্ষ। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের দীননাথপুর নিমতলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দীননাথপুর গ্রামের নিমতলা পাড়ার শরিফুল্লাহর মেয়ে আল্পনার সাথে তিন মাস আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী হানুরবাড়াদী গ্রামের মুন্নাফের ছেলে লিটনের। ওই সময় বিয়ের রেজিস্ট্রি করে নববধূ পিতার বাড়িতেই থেকে যায়। গতকাল বিয়ে তোলার আয়োজন করে নববধূর পিতা শরিফুল্লাহ। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ জন বরযাত্রী নিয়ে নববধূ আল্পনাকে আনতে দীননাথপুরে যান বর হানুরবাড়াদির লিটন। দুপুরের পর বিয়ের অনুষ্ঠানের খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ হয়। ঝাল মিশ্রিত পানি দিয়ে বরকে হাত ধোয়ানো নিয়ে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। একপর্যায়ে শুরু হয় দু পক্ষের মারপিঠ। এ সময় বরযাত্রী হানুরবাড়াদি গ্রামের আবুবক্করের ছেলে নজরুল ইসলামকে (২৬) বাড়ির পেছনে নিয়ে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে কন্যাপক্ষের লোকজন। এতে নজরুল ইসলাম গুরুতর জখম হন। বরপক্ষের কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে উদ্দেশে নেন। নজরুলকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। এ সময় বরসহ অন্য বরযাত্রীরা বউ না নিয়েই বাড়ি ফিরে যায়। এদিকে আহত নজরুল ইসলামসহ বরপক্ষের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ওরা শুধু আমাদেরকে মারপিঠই করেনি। মারামারির মধ্যে কয়েকজন মহিলার কাছে থাকা ব্যাগ ও গলাই থাকা সোনার চেন কৌশলে ছিনিয়ে নেয় তারা।
এদিকে গতরাত ৮টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন কন্যার বাড়িতে সালিস বৈঠকের আয়োজন করে। এ সময় কন্যাপক্ষের লোকজন ভুল স্বীকার করে বরপক্ষের কাছে ক্ষমা চায়। তবে ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কন্যার পিতা শরিফুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদিও ঘটে ওই কাজ আমাদের বাড়ির লোকজন করেনি। সালিস বৈঠকে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় গতরাতেই নববধূকে নিয়ে হানুরবাড়াদি গ্রামে ফেরে বরপক্ষের লোকজন।