১৬৪৩০ নম্বরে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা সেবা
স্টাফ রিপোর্টার: ১৬৪৩০ নম্বরে ডায়াল করলে দেশের সব নাগরিক আইনি সহায়তা পাবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, এই হেল্পলাইনে ফোন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাবেন দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় বিচারপ্রার্থী নাগরিকরা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু মানুষ বিচার পান না, অনেকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর ধরে কারাগারে পড়ে আছেন। তাদের কল্যাণেই জাতীয় আইনগত সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। এসব বন্দীদের তালিকা করে আইনি সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মামলার জট নিরসনে অতিরিক্তি বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সিম নিবন্ধনে সময় বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ৩০ এপ্রিল
স্টাফ রিপোর্টার: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধনের জন্য বেঁধে দেয়া সময় ৩০ এপ্রিলের পর কয়েক ঘণ্টা সিম বন্ধের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে নিবন্ধন কীভাবে হবে সে বিষয়ে শনিবার জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা মিটিং একটি করবো- এনআইডি থাকবে, বিটিআরসি থাকবে, অপারেটররা থাকবে এবং মিটিঙের পর প্রকৃত চিত্রটি কী সেটি বিবেচনা করবো। ৩০ এপ্রিল আপনাদের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি জানাবো। ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা বলেন, প্রথম দিন থেকে বলে আসছি পয়লা মে থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য সিমগুলো বন্ধ থাকবে। যারা করেনি, তারা যেন দ্রুত রি-ভেরিফিকেশন করে নেয়। মোবাইল অপারেটরগুলোর সব কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও রিটেইলার পয়েন্টে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন কার্যক্রম ৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি। ১ মে থেকে অধিকাংশ অনিবন্ধিত সিম তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখছি এই বার্তাটি পৌঁছে দেয়ার জন্য যে তাদের দ্রুত গিয়ে রি-ভেরিফিকেশন করে নেয়া প্রয়োজন।
বিচারপতি মোজাম্মেল ও মানিক আর কোনো রায়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন না
স্টাফ রিপোর্টার: ১৬৮টি মামলায় আপিল বিভাগের পক্ষে রায় লেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই বিচারক সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আর রায়ে সাক্ষর করতে পারবেন না। তাদের ওপর অর্পিত এসব রায় পুনরায় শুনানির জন্য কার্যতালিকায় দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে ১০৭টি এবং দুই নম্বর বেঞ্চে ৬১টি মামলার শুনানি হবে। আগামী ২ মে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে পুনরায় শুনানির জন্য। পুনঃ শুনানি শেষে নতুন করে এসব মামলার রায় লেখার দায়িত্ব আপিল বিভাগের কর্মরত অন্য বিচারকদের কাছে দেয়া হবে। এর মধ্যে ১৬১টি মামলা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর কাছে রায় লেখার জন্য ছিলো। বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের কাছে ছিলো মোট সাতটি। অভিযোগ রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এক মামলার রায় পনের মাস ধরে ফেলে রেখেছেন ওই সাবেক প্রধান বিচারপতি। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি অবসরে যান সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। সেই সময় তার হাতে ছিলো ২৫টি মামলার রায়। এর মধ্যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায়টি তিনি ১৫ মাস ধরে ফেলে রেখেছেন।ঃ