হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার ঋষিপাড়ার ফয়েজ উদ্দিনের মেয়ে নিপা খাতুনকে (৩০) প্রাক্তন স্বামী কর্তৃক শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধার পর থেকে নিপাকে বাড়িতে না পেয়ে স্বজনরা উদ্বিগ্ন সময় পার করছিলো। মধ্যরাতে নিপার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাড়ির পেছনে গোয়াল ঘরের দিকে গেলে দুজন লোককে কি যেন একটি ফেলে রেখে দ্রুত চলে যেতে দেখে। পরে পিতা নিজ কন্যার লাশ দেখতে পেয়ে আহাজারি শুরু করে। লাশ ফেলে রেখে যাওয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে সাবেক জামাতা বাবর আলীর ছেলে ঠাণ্ডু আলীকে চিনতে পারে বলে পারিবারিকসূত্রে জানা যায়। ঘাতক ঠাণ্ডু হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগে একই পাড়ার ঠাণ্ডু আলীর সাথে নিপার বিয়ে হয়। কিন্তু পারিবারিক দ্বন্দের কারণে তাদের তালাকের মাধ্যমে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তালাকের পরও তাদের মধ্যে নানাবিধ দেন দরবার চলে আসছিলো। এসব বিষয়ের জের ধরেই তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে পরিবারের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, নিপার তালাক হওয়ার পরও ঠাণ্ডু তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা চালাতো। তাছাড়া নিপার বাইরে থেকে কোনো বিয়ে জুটলে ঠাণ্ডু তা ভেঙে দিতো বলে জনশ্রুতি রয়েছে। ঘাতক ঠাণ্ডুকে পুলিশ হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার আসল রহস্য উদ্বাঘাটন হবে বলে সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করছে।
এদিকে নিপার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ হত্যা মামলায় সাবেক স্বামী ঠাণ্ডুসহ ৩জন এজাহার নামীয় আসামি রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।