চুয়াডাঙ্গায় আদালতে বিচার চলাকালে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী লাঞ্ছিত : স্ত্রীর ৩ ঘণ্টা হাজতবাস

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারাধীন যৌতুক মামলায় বিচার চলাকালীন অবস্থায় মামলার সাক্ষী কাকলি খাতুন ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো স্বামী ওমর ফারুক নয়নকে পায়ের হিল ছুড়ে মারেন এবং চড়থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করেন। লাঞ্ছিত করায় বিচারক আব্দুল হালিম বাদী রাশিদা খাতুনের মেয়ে কাকলিকে ৩ ঘণ্টার হাজতবাসের মৌখিক আদেশ দেন। ঘটনাটি গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে দামুড়হুদা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। আদালতে আসামির প্রতি হিল ছুড়ে ও চড়থাপ্পড় মারার খবরে আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

২০১৪ সালের ২৩ জুন দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার শহীদ আলীর স্ত্রী রাশিদা খাতুন একই উপজেলার মদনা দক্ষিণপাড়ার রবিউল হকের ছেলে ওমর ফারুক নয়নের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে বেলা ৫টা পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড়ানো স্বামী নয়নকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে বিচারক এ সাজার আদেশ দেন। পুলিশ সাথে সাথে কাকলিকে কোর্টহাজতে বন্দী করে রাখে।

আদালতসূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং লাঞ্ছিত ওমর ফারুক জানান, স্ত্রী কাকলি খাতুন তার নামে আদালতে দু বছর আগে মামলা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের আদেশে হাজির হই এবং আমি আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ালে বিচার কাজ শুরু হয়। বিচারকাজ চলাকালে আমার স্ত্রী কাকলি তার কাঠগড়া থেকে নেমে এসে দূর থেকে আমার দিকে পায়ের হিল ছুড়ে মারে এরপর সে আমাকে কাঠগড়ার ভেতরে থাকা অবস্থায় চড়থাপ্পড় মারে। বিচারক এ ঘটনায় তাকে ৩ ঘণ্টার হাজতবাসের আদেশ দিয়ে বিচারকাজ শেষ করেন। কাকলির খালাতো ভাই মানিক জানান, দীর্ঘ ২ বছর যাবত মামলা চললেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কাকলি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নয়ন ও কাকলির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়।