গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার পীরতলা মাঠে গত শুক্রবার রাতে বোমার বিস্ফোরণের ঘটনার মূল রহস্য অবশেষে উন্মোচন হয়েছে। বোমাঘাতে আহত সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার তাকে গ্রেফতার করে গাংনী থানা পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম তাহাজুল ইসলাম ভুট্টো (৩০)। সে উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে। গরু চুরি করতে যাওয়ার সময় অসাধনতাবশত বোমার বিস্ফোরণ হলে ভুট্টোর হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। অবশ্য কাজিপুর ইউপি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু নাতেক ও তার কর্মীরা ওই রাতে দাবি করেন, তার মোটরসাইকেল বহরে বোমা হামলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবু নাতেকের মোটরসাইকেল বহর বেতবাড়িয়া থেকে কাজিপুরের দিকে যায়। এর প্রায় আধা ঘন্টা পরে বহর যাওয়া সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে মাঠের মধ্যে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে বোমা বিস্ফোরণের আলামতসহ রক্তের দাগের সন্ধান পায় পুলিশ। বোমার বিস্ফোরণে বহনকারী রক্তাক্ত জখম হয়েছে ধারণা করে আহত ব্যক্তির খোঁজ করছিলো পুলিশ। সেমতো সোমবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাংনী থানার এসআই নাছির উদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এ সময় পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয় ভুট্টো।
ভুট্টো জানায়, পীরতলা গ্রামের হাতিমারা বটতলায় তারা কয়েকজন জড়ো হয়। সেখান থেকে বোমার ব্যাগ নিয়ে পার্শ্বর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গড়ুরা গ্রামে গরু চুরি করার উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু অন্ধকারে পথ চলতে গিয়ে মাঠের মধ্যে হোচট লাগে। এতে বিকট শব্দে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। বোমাঘাতে ভুট্টো আহত হয়। অন্য কেউ তেমন আহত হয়নি। কোনো মোটরসাইকেল বহরে হামলার উদ্দেশে নয়, শুধুমাত্র গরু চুরির করার জন্যই তারা বোমা বহন করছিলো।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে ভুট্টোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাম হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত রয়েছে। বোমাঘাতে তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল উড়ে গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এলাকার চিহ্নিত বোমাবাজ সন্ত্রাসী। চিকিৎসা শেষে দ্রুত তাকে গাংনী থানায় আনা হবে।