চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে অজ্ঞানপার্টির অপতৎপরতা বৃদ্ধি ৮০ হাজার টাকা হারিয়ে কৃষক লড়ছেন মৃত্যুর সাথে

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাড়ি জীবননগর তারানিবাশ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ডুগডুগি পশুহাটের উদ্দেশে বের হয়ে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন রুহুল আমিন (৫০)। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করে দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতরাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি। এর আগে একই সড়কের শাপলা এক্সপ্রেসের একটি বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রাণ হারান ঝিনাইদহ মহেশপুরের কুশোডাঙ্গা গ্রামের কাদের বিশ্বাসের ছেলে নজির উদ্দীন। তাকেও অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা অজ্ঞান করে কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় প্রতারক চক্র।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের তারানিবাশ গ্রামের শুকুর আলী দফাদারের ছেলে রুহুল আমিন গতকাল সোমবার সকালে গরু কেনার উদ্দেশে বাড়ি থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে বের হন। তিনি ডুগডুগি পশুহাটের উদ্দেশের রওনা হওয়ার পর কোথায় কীভাবে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। তাকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার নিকট থাকা মোবাইলফোনের মাধ্যমে বাড়িতে খবর দেন। মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করে তোলারও চেষ্টা করেন স্থানীয় কয়েকজন। বাড়ি থেকে নিকটজনেরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ সময় নিকটজনেরা বলেন, গরু কেনার জন্য টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন।

এর আগে একই সড়কে বাসে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে একজন কৃষক প্রাণ হারান। গতকালও অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে তারানিবাশের রুহুল আমিন এখন অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন। মৃত্যুর সাথে লড়ছেন তিনি।