চুয়াডাঙ্গার শৈলমারী গ্রামে দরিদ্র গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শৈলমারী গ্রামের এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে বাড়িরে পাশে একটি পানবরজে নিয়ে গ্রামের আলিম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি নিয়ে দিনভর শোনা গেছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধর্ষিতাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শৈলমারী গ্রামের দরিদ্র রাজমিস্ত্রীর স্ত্রী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামেরই আইয়ুব আলীর ছেলে এক সন্তানের জনক আলিম মাঝে মাঝে আমাকে উত্ত্যক্ত করতো। এরই মাঝে আমি গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাড়ির পাশের দোকান থেকে কয়েল কিনে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় পথে গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আলিমসহ ৪জন আমার হাত-মুখ বেঁধে বাড়ির পাশের একটা পানবরজে নিয়ে যায়। এ সময় অপরিচিত ৩ জন সরে যায়। আর আলিম আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে এবং আলিম পালিয়ে যায়। আমার স্বামী গ্রহণ করতে না চাইলে, গ্রামের লোকজন আমাকে অভিযুক্ত ধর্ষক আলিমের বাড়িতে নিয়ে যায়। আলিমের বাড়ির লোকজন আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।

এদিকে গ্রামের অনেকেই জানিয়েছে, আলিম প্রভাবশালী হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে। কিছু বলতে গেলে উল্টো তাদেরকে শাসানো হয়। অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক আলিমের মা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষণের শিকার দাবিদারের লোকজন ওই রাতে আমাদের বাড়িতে ঢুকে টাকা পয়সা এবং আমার গলার চেন ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তারা বাঁচার জন্য উল্টো ধর্ষণের অভিযোগ করছে। এ বিষয়ে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়ে পক্ষ বিষয়টি আমাকে জানালে তাদেরকে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।