মহেশপুর প্রতিনিধি: গত ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মহেশপুর উপজেলায় ১২টি ইউপির মধ্যে ৭টি আ.লীগ, ২টি জাময়াত, ৩টি আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। বিগত নির্বাচনে এগুলো জামায়াত-বিএনপির দখলে ছিলো।
নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে, ফতেপুর, পান্তাপাড়া, স্বরুপপুর, শ্যামকুড়, নেপা, কাজীরবেড়, যাদবপুর ইউনিয়নগুলোতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আ.লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। গত নির্বাচনে এগুলো ছিলো জামায়াত-বিএনপির দখলে। এসবিকে, মান্দারবাড়িয়া ও বাঁশবাড়িয়া এই ৩টিতে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিগত নির্বাচনে ১টি আ.লীগ বাকি ২টি ছিলো বিএনপির দখলে। নাটিমা ও আজমপুর এ ২টি ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। গত নির্বাচনে ১টি আ.লীগের দখলে ছিলো। ৩১ মার্চ ২০১৬ নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া তুলনামূলক ভালো হয়েছে বলে অনেকেই দাবি করেছেন।
অপরদিকে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা দাবি করেছেন, তাদের ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। অনেক কেন্দ্রে তাদের পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়। তারপরও তারা দাবি করেছে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে ২টি বিজয়, ৬টিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বিএনপির থেকে তাদের অবস্থান অনেক ওপরে। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে লেভেল ফিল্ড বা সবার জন্য সমান সুযোগ না থাকা তাদের প্রার্থীদের মাঠে ময়দানে কাজ করতে না দেয়া। নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়ার কারণে তাদের ফল বিপর্যয় হয়েছে। তারা আগামী দিনে সাংগঠনিক অবস্থা আরো জোরদার করবে। অতীতে মহেশপুরে ইউনিয়নগুলো জামায়াত-বিএনপির দূর্গ বলে পরিচিত ছিলো। এবার সেই দূর্গে হানা দিয়ে আ.লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন প্রমান করে। বর্তমান মহেশপুর আ.লীগের দূর্গে পরিণত হয়েছে।