অভিভাবকহীন প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব নেবে সরকার

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অভিভাবকহীন প্রতিবন্ধীদের সব ধরনের দায়িত্ব নেবে সরকার। আমাদের অটিস্টিক শিশু বা প্রতিবন্ধীরা দেশের জন্য সুনাম নিয়ে আসছে। গোল্ড বা রূপা নিয়ে আসছে। ক্রিকেটে ভালো করছে। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি শুভেচ্ছা কার্ড বা বিভিন্ন উপলক্ষে পাঠানো কার্ডগুলোতে ব্যবহৃত চিত্র কিন্তু এই অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে করে থাকি। তিনি আরো বলেন, বিশিষ্ট মানুষ ও অনেক জ্ঞানী-গুণীরাও অটিজমের শিকার হয়েছিলেন। উইলিয়াম বাটলার, পদার্থ বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিং, বিটোফেন তারা অনেকেই অটিজমের শিকার ছিলেন। কিন্তু তারা দিয়ে গেছেন অনেক। আমাদের অটিস্টিক সন্তানরা যাতে কিছু দিতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করবো।

তিনি বলেন, অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধীরা আর কষ্টে থাকবে না। তাদের জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। এটা রাষ্ট্রেরও কর্তব্য। কিন্তু দেখা যায় সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এসব পদক্ষেপ বন্ধ হয়ে যায়। যেমন কমিউনিট ক্লিনিকের মতো সেবাকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, তাই এসব বিষয়ে একটা ফান্ড করে দিয়ে যেতে চাই, যাতে এটা আর বন্ধ না হয়। আর একটি দেশকে উন্নত করতে হলে সকলকে নিয়েই করতে হবে। প্রতিবন্ধীদের জীবনও যাতে সুন্দর হয়, সেটাই চাই আমরা।

চুয়াডাঙ্গায় ‘স্নায়ু বিকাশের ভিন্নতার একীভূত সমাধান’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ৯ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফিরে আসে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুকান্ত কুমার সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ছানোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. প্রফুল্ল কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে  আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আফজালুর রশীদ, মেডিকেল অফিসার ডা. সজীব উদ্দিন স্বাধীন, ডা. নাজমুল হক, ডা. হাসিনা ফেরদৌস মৌ, ডা. লাইলা শামীমা শারমিন, ডা. শাকিলা নাজনিন রিংকু, ডা. আবু হাসান মো. ওয়াহেদ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবুল কাশেম, সেনেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল মতিন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবুল কাশেম।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবুবক্কর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খায়রুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পলাশীপাড়া সমিতির নির্বাহী পরিচালক ও জেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলহাজ মোশাররফ হোসেন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. অলোক কুমার দাস, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ আশকার আলী ও সাংবাদিক রফিক-উল আলম। জেলার বেশ কিছু প্রতিবন্ধী ও সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা র‌্যালি ও আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন। শেষে সেখানে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে মেহেরপুর ও মুজিবনগর শিশু পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা।