মাথাভাঙ্গা মনিটর: জরুরি বার্তা পেয়ে ভারতের বিমানে ওঠার পর থেকে ম্যাচের আগ পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন লেন্ডল সিমন্স। পরে মাঠে নেমে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তুলেছেন ফাইনালে। শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে থাকলেও পিঠের চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন সিমন্স। তার জায়গায় সুযোগ পান এভিন লুইস। সেমিফাইনালের আগে সুযোগ আসে সিমন্সের। সুপার টেনে আফগানিস্তানের কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে আন্দ্রে ফ্লেচারের। নির্বাচকদের মনে পড়ে সিমন্সের কথা।
ত্রিনিদাদে নিজের বাড়ির সোফায় বসে আরাম করছিলেন সিমন্স। এ সময় ফোন পান প্রধান নির্বাচক ক্লাইভ লয়েডের। সেমিফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই গল্প শোনাচ্ছিলেন সিমন্স। আফগানিস্তান ম্যাচের পর আমি খবরটি পাই। চেয়ারম্যান (নির্বাচকদের প্রধান) ফোন করে জিজ্ঞেস করেন আমি খেলার জন্য ফিট কিনা। আমি বলেছি, ‘হ্যাঁ, আমি ফিট’। সেদিনই ফ্লাইট পাইনি, পর দিনই চলে এসেছি।’
ত্রিনিদাদ থেকে দুবার বিমান বদলে মুম্বাইয়ে আসেন সিমন্স। বৃহস্পতিবার ম্যাচ, দলের সাথে যোগ দেন মঙ্গলবার। তবে ভ্রমণ ক্লান্তি তাকে কাবু করেনি, পুরো সময়টা যে ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন! এ ম্যাচের জন্য বিশ্রামটা খুব ভালো হয়েছিল আমার। দুটি ফ্লাইটেই আমি ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। এখানে এসে রাতে ঘুমিয়েছি। গত বুধবার সকালে অনুশীলন করেছি, পরে দুপুর ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি। আজকেও দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি। বিশ্রাম তাই খুব ভালোই হয়েছে। ভারতের হৃদয় ভাঙলেন যে মাঠে, আইপিএলে এই মাঠই তার ঘরের মাঠ। মু্ম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেন, এখানে তিনি অনেকটা ঘরের ছেলে। জানালেন, চেনা মাঠ ও আবহ তাকে ভালো করতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলেও আমাকে এখানে আসতে হতো। গতকাল শুক্রবার এমনিতেই আমার মুম্বাই আসার কথা ছিল আইপিএলের প্রস্তুতির জন্য। শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াটা আইপিএলের প্রস্তুতির জন্যও ভালো হলো। ঘরের মাঠে খেলা, কন্ডিশন আমার চেনাই, খুব ভালোভাবে পড়তে পেরেছি আমি।’