মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস। ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেশে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান, মহাজনপুর, মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার। ইসির আচরণ বিধি অনুযায়ী গত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রচার-প্রচারণা। গতকাল শেষ মুর্হূতের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। ৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটারের সংখ্যা ৭৩ হাজার ৭৩৮। প্রধান দুটি দল একক প্রার্থী নির্ধারণ করে প্রতীক বরাদ্দ দিলেও রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। স্বতন্ত্র ব্যনারে তিনটি ইউপিতে মাঠে রয়েছেন জামায়াতের প্রার্থীরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল হাদি জানিয়েছেন, ৪টি ইউপির ৩৬টি ওয়ার্ডে ৪০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আজ দুপুরের পরে স্ব স্ব প্রিসাইডিং অফিসার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে ব্যালট পেপারসহ ভোটগ্রহণের আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম নিয়ে ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হবেন। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে যা যা করা দরকার তার কোনো ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানান মুজিবনগর থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় প্রতিটি কেন্দ্রে অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য ৬ জন, অস্ত্রধারী আনসার সদস্য ৪ জন, একজন পুলিশ অফিসার ও ১৭ জন নিরস্ত্র আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ মোট ২৮ জন সদস্য রয়েছেন। কেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ টিম। পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য পৃথক স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকছে। টহল থাকবে ৱ্যাবের। স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে চারটি ইউপিতে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও শাদা পোশাকে ডিএসবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন ভোটের মাঠে।
এদিকে ভোটগ্রহণের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকার প্রার্থীদেরকে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও কর্মীসভাসহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় মোটরযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যা ভোটগ্রহণের পরদিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষকদের অনুমোদনপ্রাপ্ত যানবাহন ও জরুরি কাজে নিয়োজিত পরিবহন চলাচল করতে পারবে।