স্টাফ রিপোর্টার: অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা গরু কেনার ৪৫ হাজার টাকাই শুধু নেয়নি, বৃদ্ধ নজির বিশ্বাসের প্রাণটাও কেড়ে নিয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালে মিনিবাস থেকে তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসার একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে টাকা ও প্রাণ হারানো নজির বিশ্বাস ঝিনাইদহ মহেশপুরের কোষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত কাদের বিশ্বাসের ছেলে। গতকাল তিনি তার ছেলে আবু বক্কর ও এক শ্যালককে সাথে নিয়ে দামুড়হুদার ডুগডুগি পশুহাটের উদ্দেশে রওনা হয়ে শাপলা পরিবহনের (মিনিবাস) একটি বাসে উঠে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন।
জানা গেছে, নজির বিশ্বাস তার এক ছেলে ও এক শ্যালককে সাথে নিয়ে ডুগডুগি পশু হাট থেকে গরু কেনার উদ্দেশে প্রথমে আলমসাধুযোগে রওনা হন। উথলী থেকে ওঠেন শাপলা পরিবহনের একটি বাসে। নজির বিশ্বাসের ছেলে আবু বক্কর ও শ্যালক বাসের ছাদে উঠলেও নজির বিশ্বাসকে বাসের ভেতরে তুলে দেন। নজির বিশ্বাসের নিকট ছিলো গরু কেনার জন্য ৪৫ হাজার টাকা। ডুগডুগি পশুহাটে বাস পৌছুলে ছাদ থেকে ছেলে আবু বক্কর ও তার মামা নামেন। ভিড়ের মধ্যে নজির বিশ্বাস নেমেছেন কি-না তা প্রথমে বুঝতে পারেনি। বাস চলে গেলে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ছেলে আবু বক্কর ও তার মামা ফিরে যান বাড়ি কুশোডাঙ্গায়। বাড়ি ফিরে বিস্তারিত বললে চুয়াডাঙ্গা বাসটামির্নাল ও হাসপাতালে খোঁজ নেয়া শুরু হয়। নজির বিশ্বাসের ভাতিজা সাইফুল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যখন পৌঁছান, তখন নজির বিশ্বাস আর বেঁচে নেই। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ তুলে বলেন, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা চাচাকে অজ্ঞান করে টাকা নিয়েছে। আর হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় চাচার মৃত্যু হয়েছে।
বাসের সুপারভাইজার তৌহিদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাসটি চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে পৌছুলে দেখি একজন অজ্ঞান মতো। বাসটার্মিনালে পৌছে কয়েকজন সহকর্মীকে সাথে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। তখন বিকেল তিনটা। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, অজ্ঞান অবস্থায় রোগী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েও জ্ঞান ফেরানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত মারা গেছেন। কোনো খাদ্যদ্রব্যের সাথে মাত্রাতিরিক্তি অজ্ঞান করা ওষুধ সেবনের কারণেই এমনটি হয়ে থাকতে পারে।