জীবননগর ব্যুরো: দীর্ঘদিন পর জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করার উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা আদালতে গড়িয়েছে। রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা হীনস্বার্থে মনোনয়নপত্র বিতরণে বাধা দেয়ায় ক্ষুব্ধ এক অভিভাবক গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে নির্বাচন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন। কেন মনোনয়নপত্র দেয়া হচ্ছে না তার সন্তোষজনক কারণ দর্শানোর জন্য আদালত ৭ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুন্সী আব্দুস সামাদ ও এসএমসির নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা ইন্সট্রাক্টর মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে।
জীবননগর উপজেলার পিয়ারাতলার মৃত আব্দুল আজিজ প্রধানের ছেলে উথলী ইউপির সাবেক মেম্বার মামলার বাদী খলিলুর রহমান তার আরজিতে বলেছেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে তিনি গত ২৬ মার্চ মনোনয়নপত্র নিতে যান। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুন্সী আব্দুস সামাদ তাকে মনোনয়নপত্র দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে জানান রাজনৈতিক নেতাদের চাপ ও নিষেধ আছে।
একটি সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষক ঘটনার হুবহু তুলে ধরে এ সময় একটি লিখিত প্রদান করেন। মনোনয়নপত্র না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি মামলা চলাকালে বিবাদীগণ যাতে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে না পারেন, তার জন্য নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. সেলিম রেজা নির্বাচন বন্ধে কেন স্থায়ী আদেশ দেয়া হবে না ৭ দিনের মধ্যে তার সন্তোষজনক কারণ দর্শানোর জন্য বিবাদীদের নামে নোটিশ জারি করেন। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. বজলুর রহমান।