স্টাফ রিপোর্টার: ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে আর আম্মু আম্মু বলে ডাকবে না শিশু মাসুম। নানির সাথে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা হলো কাল। ঘাতক মাইক্রোবাস বেপরোয়া গতিতে এসে ধাক্কা দিয়ে পিষ্ট করে দিলো তাকে। গুরুতর আহত হন নানি আম্বিয়া খাতুন। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে মা মাছুরা খাতুন পাগল প্রায়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে দামুড়হুদার জুড়ানপুরে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের রবিউল হকের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন তার নাতি ছেলে একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ৪ বছর বয়সী মাসুমকে কোলে নিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হোগলডাঙ্গা থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-১৯৬৬) শিশু মাসুম ও তার নানিতে ধাক্কা দেয়। এতে শিশু মাসুম ও তার নানি আম্বিয়া খাতুন গুরুতর জখম হন।। তাদেরকে আশঙ্কজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মাসুম মারা যায়। নানির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে গ্রামবাসী রাস্তায় গাছ ফেলে মাইক্রোবাসটি ব্যারিকেড দিয়ে গতিরোধ করে। এ সময় চালক পালানোর চেষ্টাকালে জনগণ ধরে পিটুনির পর পুলিশে তুলে দেয়। পুলিশ চালক চুয়াডাঙ্গা শহরের হকপাড়ার শেখ সোহেলের ছেলে কুরবান আলীকে (২১) ও মাইক্রোবাসটিকে আটক করে থানায় নেয়। দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন হতাহতের ঘটনা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাইক্রোবাসের চালক কোরবান আলীকে আটক ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করে থানায় নেয়া হয়েছে। লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে গ্রাম্য কবরস্থানে শিশু মাসুমের মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়।