কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় মাদকব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। মাদকব্যবসায়ীরা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার হুদাপাড়া-জাহাজপোতা, ঠাকুরপুর, চাকুলিয়া, মুন্সিপুর, সুলতানপুর, মদনাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে ফেনসিডিল, গাঁজা ও মদসহ সব ধরনের মারাত্মক মাদকদ্রব্য। হাত বাড়ালেই ফেনসিডিল ও গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছেই শুধু নয়, এসব চলে যাচ্ছে কিশোর এবং যুবকদের হাতেও। পারিবারিকভাবে নেশার টাকার জোগান না পেয়ে স্কুলছাত্ররা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এমন অভিযোগ অভিভাবকদের।
এদিকে মাদকব্যবসায়ীদের নিরাপদ রুট হিসেবে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য ওই সব রুট দিয়ে আসছে। বিজিবি ও পুলিশ নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানে ইতঃপূর্বে সড়কের চেকপোস্টগুলোয় বাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করে মাদক উদ্ধার করা হলেও দামুড়হুদা উপজেলার ফেনসিডিল, গাঁজা ও মদ ব্যবসায়ীরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য জব্দ করা হলেও এখানে মাদক বন্ধের জন্য বিজিবি নিয়মিত কাজ করছে। মাদকব্যবসা লাভজনক হওয়ায় দিনদিন মাদকব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বন্ধ হচ্ছে না মাদকের চোরাকারবার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত কতিপয় যুবনেতা অর্থের যোগান দিয়ে নিজেরাই এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার পুলিশ প্রশাসনের থানা লাইনের বরাত দিয়ে কতিপয় চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী লাইনম্যান বনে গিয়ে এসব ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ ব্যবসায় যারা বর্তমানে জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই নাম প্রশাসনের জানা আছে। কিন্ত নির্বিঘ্নে এসব মাদকব্যবসায়ী প্রশাসনের নাকের ডগায় তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ আব্দুল গফুর বলেন, মাদকের ছড়াছড়িতে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এর মূল হোতাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে না পারলে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হবে।