স্টাফ রিপোর্টার: দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রের ধারা অক্ষুণ্ণ ও সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে সংবাদপত্রগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সংবাদপত্রের ওপর যে কোনো ধরনের আক্রমণের অর্থ গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ। অপশক্তি মোকাবেলায় সাংবাদিকদেরও এক হয়ে লড়াই করতে হবে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদপত্রকে দেশের আয়না অভিহিত করে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, গণমাধ্যমে প্রকৃত উন্নয়নে তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও বাকস্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সে কারণে সরকার তথ্য অধিকার আইন পাস করার পাশাপাশি সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালিদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে সরব ছিলো সংবাদপত্রগুলো। তারা সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলো। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষের মুক্তির সংগ্রামের পক্ষে বৈশ্বিক জনমত তৈরি করতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলো। স্বাধীনতা অর্জনের পর সংবাদপত্রগুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের জন্যও নিজেদের সৃজনশীলতা দিয়ে নিয়োজিত ছিলো। দেশের বিভিন্ন সঙ্কটকালে সংবাদপত্রগুলোর বেশির ভাগই ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক অবস্থান নিয়ে দেশপ্রেমিকের ভূমিকা পালন করেছে। নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শহর ও গ্রামের উন্নয়নের মতো বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকার কথা সর্বজনবিদিত।