স্টাফ রিপোর্টার: নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার বিধান রেখে ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নীতিমালার খসড়া অনুমোদন পায়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, অভিবাসন নিয়ে ২০০৬ সালের একটি সংক্ষিপ্ত নীতি ছিলো। সেটি পুনর্বিন্যাস করে আরও বিস্তারিতভাবে নতুন এই নীতি করা হয়েছে। নতুন নীতিতে নিরাপদ অভিবাসনে উৎসাহিত ও নিশ্চিত করা, অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা, অভিবাসী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ, নারী কর্মীদের অভিবাসন, জাতীয় উন্নয়নের সাথে অভিবাসনকে সম্পৃক্ত করা এবং শ্রম অভিবাসনের সুষ্ঠু পরিচালনার বিষয়ে ‘নীতি নির্দেশ’ রয়েছে বলে জানান সচিব। নারী কর্মীদের শ্রম অভিবাসন নিয়ে নীতিতে আলাদা একটি অধ্যায় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে সরকারকে সমন্বিত কার্যক্রম নিতে বলা হয়েছে। নতুন নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সব বিষয়েই বলা আছে। কিছু নতুন আন্তর্জাতিক আইন হয়েছে, যার আলোকে এই নীতি নতুন করে লেখা হয়েছে। নীতিমালায় অর্থ, পররাষ্ট্র, বিমান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। মানব পাচার রোধের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি অনুসরণ করে সরকার প্রয়োজনে নতুন আইন বা বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবে বলে শফিউল আলম জানান।
আরও দুই অনুমোদন: বাংলাদেশ ও তুরস্কের মিলিটারি মেডিকেল সার্ভিসের মধ্যে সহযোগিতা প্রটোকল স্বাক্ষরের একটি খসড়ায়ও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
শফিউল আলম বলেন, ২ সামরিক চিকিৎসা অধিদফতর একে অপরকে চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের সামরিক ব্যক্তিরা তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন। উভয় দেশের সম্মতিতে ৫ বছর পরপর এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যাবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। স্থল বন্দরগুলোর সাথে কানেকটিভিটি তৈরিতে ‘ইন্টার গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট অফ ড্রাই পোর্ট’ চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশ এই চুক্তিতে সই করেছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশ আগেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, এখন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতেই মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেয়া হলো। বাণিজ্য বৃদ্ধি ও পণ্য সরবারহ নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে জানান তিনি। মন্ত্রিসভা বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট, একই মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন। এজন্য একটি বিশেষ সিলমোহরও ব্যবহার করা হয়।