মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্যারিয়ারের প্রথম শতকে ভারতকে সান্ত্বনার জয় এনে দিয়েছে মনিশ পাণ্ডে। সিরিজের প্রথম চারটি ওয়ানডেতে হারের পর শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অতিথিরা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্যে ২ বল বাকি থাকতে পৌঁছে যায় ভারত। এ নিয়ে সিরিজের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই ৩শ ছাড়ানো স্কোর গড়লো অস্ট্রেলিয়া। দুবার তারা করেছে রান তাড়া করে; দুবার আগে ব্যাট করে। বাকি এক ম্যাচে স্টিভেন স্মিথের দল জিতেছিলো ২৯৫ রান তাড়া করে।
অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিলো না। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অ্যারন ফিঞ্চকে (৬) শুরুতেই ফেরান ইশান্ত শর্মা। দারুণ ফর্মে থাকা স্টিভেন স্মিথ (২৮) ও জর্জ বেইলিও (৬) সুবিধা করতে পারেননি। ৭৮ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আরেক ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে এ ম্যাচে চোটের কারণে পায়নি অস্ট্রেলিয়া। তার বদলে একাদশে ফেরা শন মার্শ রান আউট হন ৭ রানে। নিয়মিত উইকেট হারালেও অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ওয়ার্নার। যোগ্য সঙ্গী পান পরে ছোট মার্শকে। ৫ম উইকেটে ১১১ বলে ১১৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। ওয়ার্নার শতক স্পর্শ করেন ঠিক ১০০ বলে। শেষ পর্যন্ত ৯ চার ও ৩ ছক্কায় আউট হয়েছেন ১১৩ বলে ১১৮ করে। ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথু ওয়েডের (২৭ বলে ৩৬) সাথে ৫২ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ৩শ রানের ওপারে নিয়ে যান মিচেল মার্শ। শতকের কাছে গিয়ে খানিকটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন মার্শ। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত শতক পেয়ে যান শেষ ওভারে, মাত্র ৮০ বলে! শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৮৪ বলে ১০২ রানে।
এ নিয়ে মার্শ পরিবারের তিনজন ক্রিকেটার স্বাদ পেলেন আন্তর্জাতিক শতকের। মিচেলের বড় ভাই শন মার্শের শতক আছে ৬টি, দুজনের বাবা জিওফ মার্শ করেছিলেন ১৩টি শতক। ভারতের ছন্নছাড়া বোলিং আক্রমণে নজর কেড়েছেন অভিষিক্ত পেসার জাসপ্রিত বুমরা। ১০ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ৬০ রানে দুই উইকেট ইশান্ত শর্মা।