যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমা। ফলে একটু অসতর্কতায় ঘটে যেতে পারে বিপত্তি। যেমনটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার মদনা গ্রামের এক বৃদ্ধাসহ দুজনের ক্ষেত্রে। একটি বাড়িতে বোমার বিস্ফোরণ কিছু প্রশ্নের জন্ম দেবেই। যতোই সরল স্বীকারোক্তিতে বলা হোক না কেন, ‘কুড়িয়ে পাওয়া।’ বোমাগুলো নার্সারিতে উড়ে আসেনি। পরিত্যক্ত বোমা কেউ না কেউ আনে, সেহেতু যে আনে তাকে শনাক্ত করে আইনে সোপর্দ করার দাবি সমাজেরই কল্যাণে।
যেহেতু বোমা আনা-নেয়ার সাথে জড়িতদের কেউই সাধু নন, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্তে সমাজের ওইসব অসাধুদের ধরে আইনে সোপর্দ করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যেখানেই বোমা পাওয়া যাক না কেন, বিধি মোতাবেক মামলা রুজু করে দায়সারা গোছের নয়, প্রকৃত দোষী ধরার মতো করে তদন্ত করা হলে অবশ্যই সমাজে বোমাবাজদের আধিপত্য কমবে। অবশ্য বৃদ্ধার উক্তিমতে, তিনি বাড়ির পাশের একটি নার্সারিতে পাতা কুড়োতে গিয়ে জদ্দার কৌটা সাদৃশ্য তিনটি বস্তু কুড়িয়ে পান। তিনি বাড়িতে নিয়ে একটু গোপনেই সযত্নে রাখেন। দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর পানের বাটা নিয়ে বসার সময় তিনি কৌটা তিনটি পাশে নেন। কৌতূহলবশে একটি খুলতে গেলে ঘটে বিস্ফোরণ। তিনি রক্তাক্ত জখম হন। একটি হাত উড়ে গেছে। তারই একভাইয়ের নাতজামাইও বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন।
একটি বাড়িতে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটলো, তিনটিই পার্শ্ববর্তী নার্সারি থেকে কুড়িয়ে পাওয়া। গুরুতর জখম বৃদ্ধার উক্তি শতভাগ সত্যি হলেও পুলিশ যেমন দায় এড়াতে পারে না, তেমনই বোমাগুলো কোথা থেকে কে এবং কেন এনে ওখানে জড়ো করলো তা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তা হলে অবশ্যই বোমাবাজ চক্রের অপতৎপরতা হ্রাস পাবে। পরিত্যক্ত বোমা বলে দায় এড়ানোর কুফল সমাজকেই বহন করতে হবে।