আবারও জয়-বঞ্চিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচটা দুবার এগিয়ে গিয়েও পয়েন্ট-ভাগাভাগিতেই শেষ করেছে লুই ফন গালের দল। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ৩-২ গোলে এগিয়ে থাকলেও নিউক্যাসলের পল ডামেটের গোলে জয়টা হাত ফসকেই বেরিয়ে গেছে ইউনাইটেডের হাত থেকে। এ এমন এক ড্র, যেখানে ইউনাইটেড হারের তিক্ত স্বাদই পাচ্ছে। মহা গুরুত্বপূর্ণ ১ পয়েন্ট পেয়ে নিউক্যাসলের হচ্ছে জয়ের গৌরব। ওয়েইন রুনি আর জেসে লিংগার্ডের গোলে ৩৮ মিনিটে ইউনাইটেড এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। কিন্তু জিয়ারজিনিও উইনালদাম আর আলেকজান্ডার মিতরোভিচের গোলে দারুণভাবে খেলায় ফিরে আসে নিউক্যাসল। ৭৯ মিনিটে রুনির দ্বিতীয় গোল ইউনাইটেডকে জয়ের স্বপ্ন দেখালেও স্বপ্নটা শেষ করে দেন ডামেট, একেবারে অন্তিম মুহূর্তে।
আগের ম্যাচেই এফএ কাপে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে কোনোমতে জেতা ইউনাইটেড নিউক্যাসলের বিপক্ষে জিতলেই টটেনহাম হটসপারের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানটি ভাগাভাগি করতে পারত।
কিন্তু দুর্ভাগ্য যেন পিছুই ছাড়ছে না। নিউক্যাসলের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ৩-৩ ফলকে ‘হার’ হিসেবেই বর্ণনা করেছেন কোচ ফন গাল, ‘অবশ্যই এই ড্র হারের সমানই। আমরা যেন নিউক্যাসলকে ম্যাচে ফিরে আসতে সাহায্য করলাম। দলের খেলোয়াড়দের বলেছি, আমরা কমপক্ষে ছয়টি গোল করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা পারিনি।’
রুনি নিজে দুই গোল করেছেন, অন্যটি করিয়েছেন। তাঁর রাগ আর কষ্ট মিলেমিশে একাকার। তা ছাড়া ইংলিশ লিগের এবারের যা অবস্থা, তাতে প্রতিটা পয়েন্টই হিরের চেয়েও দামি। সেখানে কয়েক সেকেন্ড গোলদূর্গ আগলে রাখতে না-পেরে দুই পয়েন্ট মাঠে ফেলে আসার চেয়ে কষ্ট আর কী হতে পারে।
তবে ইউনাইটেড সমর্থকদের এখন যা অবস্থা, তাতে এর মধ্যেও আশা খুঁজে নিতে হচ্ছে। সেই আশা হয়ে দেখা দিচ্ছেন রুনি নিজেই। আগের ২৩ ম্যাচে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় মাত্র তিন গোল করা রুনি লিগে গত দুই ম্যাচে করেছেন তিন গোল। এই রুনিকেই তো চাই তাদের!