গাংনী প্রতিনিধি: ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলন করে ফেঁসে গেলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দুই ইটভাটা মালিক। বালু উত্তোলনের ফলে ফসলী জমিতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত দু জনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে বালিয়াঘাট মাঠে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই জরিমানা আদায় করা হয়। অর্থদণ্ড প্রাপ্তরা হচ্ছেন বামন্দীর বাবলু বিশ্বাস ও বালিয়াঘাট গ্রামের আনিছুর রহমান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল আমিন জানান, বালিয়াঘাট মাঠের দুটি পুকুর থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দু ইটভাটা মালিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় এলাকার অনেকের আবাদী জমি এখন ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দু ইটভাটা মালিককে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে থাকা পুলিশের একটি দল। বালু ও মাটি রক্ষা আইনে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে বাবলু বিশ্বাসকে ১ লাখ টাকা ও আনিছুর রহমানকে ২ লাক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে উভয়ের দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দণ্ডিতরা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা পরিশোধ করতে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী ওই দু ইটভাটা মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে ড্রেজিং দিয়ে নিজ নিজ পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। এতে পুকুরের আশেপাশের ফসলী জমি বসতী ভাঙ্গণের হুমকির মুখে পড়ে। ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধ করার অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করছিলেন না। নিজের জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি তাই কারো অসুবিধা হলে কিছুই করার নেই বলে দাম্ভিকতা দেখিয়ে আসছিলেন দু ইটভাটা মালিক। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের সেই দাম্ভিকতা স্থায়ী হয়নি আইনের শাসনের কাছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন আরো বলেন, ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পুকুর দুটিতে গভীর গর্তে পরিণত হয়। এতে আশেপাশের স্থাপনা ও ফসলী জমি ভাঙনের কবলে পড়ে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অনের ক্ষতি সাধন হয় এমনভাবে ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলন দণ্ডনীয়।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গতকালের অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগীসহ সাধারণ মানুষ। অবশ্য এর আগেও গত বছর মাথাভাঙ্গা নদীতে ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড ও বালুসহ উত্তোলন যন্ত্রপাতি জব্দ করেছিলেন ইউএনও আবুল আমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।