মাত্র একজন ছাত্রীকে স্কুলে নেয়ার জন্য ট্রেন থামে স্টেশনটিতে
মাথাভাঙ্গা মনিটর: জন মানবহীন একটি এলাকায় রেল স্টেশন। প্রতিদিন সময় মতো ট্রেন থামে এখানে। আর কোনো যাত্রী না থাকলেও শুধুমাত্র একজন ছাত্রী এই স্টেশনটি থেকে স্কুলে যাতায়াত করে। আর তাকে আনা-নেয়া করতেই স্টেশনটি চালু রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম হোক্কাইডো দ্বীপের একেবারে উত্তর প্রান্তে রয়েছে কামি শিরাতাকি স্টেশন। স্টেশনটি যে এলাকায় অবস্থিত তাকে অজ পাড়াগাঁয়ের বেশি বলা যাবে না। ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া রেল লাইন দিয়ে হাতেগোনা কয়েকটি ট্রেন চলে। যাতায়াতের জন্য অন্যান্য মাধ্যম থাকায় স্টেশনটি অব্যবহৃতই থেকে যায়। এ কারণেই রেল মন্ত্রণালয় ওই স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু জরিপ চালানোর পর পরিদর্শকরা লক্ষ্য করেন, আর কোনো যাত্রী না পাওয়া গেলে কি হবে-একটি মেয়ে সারা বছর এই ট্রেন ধরে স্কুলে যাতায়াত করে। ট্রেন না চললে তার স্কুলে পৌঁছুতে কষ্ট হবে। তাই ওই ছাত্রীর জন্যই একটি গোটা স্টেশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শুধু তাই নয়, মেয়েটি যাতে সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছুতে পারে তার জন্য ট্রেনের সময়সূচিও পাল্টে দেয়া হয়েছে।
সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলায় নিহত ৫৭
মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে একটি কারাগারে রাশিয়ার বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন। গত শনিবার রাজধানী দামেস্ক থেকে ২৯০ কিলোমিটার উত্তরে মারাত আল নুমান শহরে রাশিয়া বিমান হামলা চালায়। গতকাল রোববার সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্সের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়। সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় ২১ বেসামরিক নাগরিক, ২৯ জঙ্গি ও ৭ বন্দী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৩০ জন। এদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর। বিরোধীপক্ষের সাথে আসাদ সরকারের শান্তি আলোচনার প্রস্তুতি নিয়ে আলাপের জন্য যখন জাতিসংঘের কূটনৈতিক স্ট্যাফেন ডি মিস্তরা সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেমের সাথে বৈঠকে বসেছেন ঠিক তখনই এ হামলার ঘটনা ঘটলো। যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন নুসরা ফ্রন্সের যোদ্ধারা কারাগার ও শরীয়াহ আদালত হিসেবে ব্যবহার করতো বলে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালাতে শুরু করেছে।
বেশি কাজ করায় ডেনমার্ক থেকে বিদেশি ছাত্রকে বহিষ্কার
মাথাভাঙ্গা মনিটর: উন্নয়নশীল দেশ থেকে পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই খণ্ডকালীন চাকরি করে নিজের ব্যয়ভার বহন করেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধও মেনে চলতে হয় শিক্ষার্থীদের। এই বিধিনিষেধ অমান্য করে বেশি কাজ করায় ডেনমার্ক থেকে বের করে দেয়া হলো এক বিদেশি ছাত্রকে। ৩০ বছরের মরিয়াস ইয়োউবি প্রকৌশল অনুষদের ছাত্র ছিলেন। ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ তাকে ৮ জানুয়ারির মধ্যেই দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী ৭ তারিখ নিজ দেশ ক্যামেরুনে ফিরে গেছেন তিনি। মরিয়াসের বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ, অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে চাকরির করতেন তিনি। সেই অর্থে কঠোর পরিশ্রম করার জন্যই তাকে দেশছাড়া করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শত চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ডেনমার্কে সপ্তাহে ১৫ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা। ইয়োউবির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এই সীমা অতিক্রম করেছিলেন। পড়ালেখার খরচ চালানোর জন্য ক্লিনার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
সেই মুসলিম নারীর কাছে ট্রাম্পকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান
মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশ থেকে এক মুসলিম নারীকে বের করে দেয়ার পর তার কাছে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির একটি মুসলিম সংগঠন। দ্য কাউন্সিল অন অ্যামেরিকান-ইসলামিক রিলেশন মনে করে সমাবেশ থেকে রোজ হামিদ নামের সেই নারীকে বের করে দেয়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি মুসলমান সমাজকে একটি কঠোর বার্তা দেয়। টি-শার্ট ও হিজাব পরিহিতা সেই নারী নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তার টি-শার্টে লেখা ছিলো ‘Salam, I come in peace’ ৫৬ বছর বয়সী ওই বিমানবালা ট্রাম্পের সমাবেশে গেলে উপস্থিত রিপাবলিকান সমর্থকরা স্লোগান দেয়া শুরু করে। এ সময় একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা তাকে সমাবেশস্থল ত্যাগ করতে বলেন। বাইরে বের হওয়ার সময় ট্রাম্পের সমর্থকরা দুয়োধ্বনি দেয় তাকে। বিভিন্ন সময় মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগনসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশিষ্টজন তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের প্রবেশ নিষিদ্ধ করারও দাবি উঠেছিলো।