মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের বেতবাড়িয়ার গৃহবধূ মিতা খাতুনের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের পথে। রহস্যজনক মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের ৩ মাস ৮ দিন পর মিতা খাতুনের পিতা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১টার দিকে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের বাদলের স্ত্রী স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মিতা খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। স্বামীর পরিবারের লোকজন বলে, মিতা খাতুন ঘরের আড়ার সাথে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সকলকে ম্যানেজ করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। খবর পেয়ে গৃহবধূর পিতার বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ তুললেও তখন মামলা পর্যন্ত গড়ায়নি। সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের এসআই রতনুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেন। ওই দিন রাত ১২টার দিকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে লাশের জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। লাশ দাফনের ৩ মাস ৮ দিন পর গতকাল রোববার মৃত গৃহবধূ মিতার পিতা জিনাল উদ্দিন বাদী হয়ে মিতার স্বামীসহ ৫ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল চুয়াডাঙ্গা খ আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট ২০ জানুয়ারির মধ্যে মিতার লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
গ্রামসূত্র জানায়, গত সাড়ে ৫ মাস আগে আলমডাঙ্গার কলেজ পাড়ার জিনাল উদ্দিনের স্কুলপড়ুয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মিতা খাতুনের বিয়ে হয় বেতবাড়িয়া গ্রামের আমিরুলের ছেলে বাদলের সাথে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্বামীগৃহে ঘটে রহস্যজনক মৃত্যু। মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত হবে। এবার মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আশা স্থানীয়দের।