মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাঁচ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এসপানিওলের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে স্প্যানিশ কাপের ম্যাচটি লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস, নেইমারদের জন্য ভাগ্য বদলের মিশন। বার্সেলোনার মাঠ কাম্প নউতে কোপা দেল রের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচটি হবে আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায়। একই শহরের ক্লাব হলেও শক্তি, সাফল্য আর তারকাদ্যুতিতে বার্সেলোনা আর এসপানিওলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। তবে স্পেনের লা লিগায় এ দু দলের সবশেষ ম্যাচটি দারুণ উত্তেজনা ছড়িয়েছিলো।
এসপানিওলের মাঠ থেকে গত শনিবারের সেই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করে ফেরে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। সেই ম্যাচে অতি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা এসপানিওল প্রচুর ফাউল করে। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে বিরক্তি প্রকাশ করেন বার্সেলোনার অনেক খেলোয়াড়ই। লা লিগার সেই ম্যাচ শেষে অবশ্য ভাগ্যকে দায় দেন বার্সেলোনার মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ। মেসির একটি বাঁকানো ফ্রি-কিক এসপানিওলের গোরক্ষক বুঝতেই পারেননি। তবে ক্রসবার গোলবঞ্চিত করে বার্সেলোনাকে। পরে ছয় গজ দূর থেকে নেয়া সুয়ারেসের একটি প্রচেষ্টাও ফিরে আসে পোস্টে লেগে। স্পেনের লা লিগায় তার আগের ম্যাচেও গোল পোস্ট বার্সেলোনার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। গত ৩০ ডিসেম্বর রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৪-০ গোলে জেতা বার্সেলোনার ৬টি গোলের প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পায়। এসপানিওলের বিপক্ষে এ ম্যাচ তাই লুইস এনরিকের দলের জন্য দুর্ভাগ্য পেছনে ফেলার অভিযান। এসপানিওলের বিপক্ষে দলটির মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস বলে খুব সহজেই মেসি, সুয়ারেস, নেইমারা এ অভিযানে সফল হতে পারবেন। ২০০৬ সালে সবশেষ কোপা দেল রের শিরোপা জেতা এসপানিওলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ চারটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।