জীবননগরে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে আ. লীগ প্রার্থী নাসিরের সাংবাদিক সম্মেলন
জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় পরাজিত মেয়র প্রার্থী নাসির উদ্দিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। নিজ বাড়িতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ আনেন।
তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকাকে পরাজিত করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হন। তিনি বিএনপির একটি অংশ ও জামায়াতের সাথে জোট বেধে নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন। আমি পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি নেতা শাহজাহান কবীরের লোকজন নৌকা প্রতীকের কর্মীদের শায়েস্তা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। নির্বাচনের দিনগত রাতে তাদের পক্ষের লোকজন রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করে এবং ইসলামপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী সাগরিকার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পটকা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। রাতে তারা শহরে সশস্ত্র মহড়া দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক শামীম ফেরদৌসের বাড়ি, পুরাতন তেঁতুলিয়া গ্রামের জাহিদের বাড়ি ও সুবলপুরের আব্দুল আওয়ালের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং গোপালনগর গ্রামের আব্দুল হালিমের বাড়ি পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসী এসে আগুন নিভিয়ে ফেলাতে হালিমের পরিবারের লোকজন রক্ষা পায়। জাফরকে পিটিয়ে তার মোবাইলফোন ও সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে শাকিল। এছাড়াও নৌকা প্রতীকের পক্ষে যারা ভোট করেছে তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনসহ পুলিশকে বারবার জানানো সত্বেও তারা অজ্ঞাত কারণে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে জাহাঙ্গীর ও শাহাজান কবীরের লোকজন সহিংসতা চালানোর সাহস পাচ্ছে এবং নৌকার কর্মীদের দিশেহারা করে তুলেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নৌকার কর্মীরা জেগে উঠলে জীবননগরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় আমি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর আপেল মাহমুদ, যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক শামীম ফেরদৌসসহ নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, বিষয়টি জানার পর তিনি পুলিশসহ প্রশাসনকে জানিয়েছেন। কিন্তু দেখছি বলে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যার ফলে তারা নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা করছে।