স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের এতিমখানাপাড়ায় দু পরিবারের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারীসহ ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, ছেলে, ভাই-ভাতিজাও রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষের পর আহত ১২ জনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত উভয়পক্ষ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে দাবি করলেও নব নির্বাচিত এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন অবশ্য বলেছেন, দু পক্ষের কোনো পক্ষই আমার গাজর প্রতীকে ভোট করেনি। গাজর প্রতীক নিয়ে বিরোধের কারণে মারামারিও হয়নি। শুনেছি ফজলুর রহমানের ছেলে রাজুর সাথে দিদার মণ্ডলের ছেলে আসানের রাস্তায় কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে রক্তাক্ত আহত হয়।
মারামারিতে আহতদের মধ্যে ফজলু হক (৪৫), তার স্ত্রী রোজি খাতুন, দু ছেলে রাজু (২২), রাজা (২০), ফজলুর রহমানের বোন সাহেদা খাতুন, ভাই আলতাফ হোসেন ও আলতাফ হোসেনের স্ত্রী সানুররা খাতুন। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, আসান আলী (৪০), তার স্ত্রী কমলা খাতুন, ভাই টুটুল ও ভাতিজা খোমিন।
আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। আহতদের এক পক্ষ বলেছে, আমরা উভয়পক্ষই বিএনপি সমর্থক। গাজর প্রতীক নিয়ে আবুল হোসেন ও ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুর রাজ্জাক তরু। গাজর প্রতীক জিতলেও ডালিম হেরে যায়। এসব নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে উঠে আসে বিএনপি হয়েও বিএনপির ধানের শীষে ভোট না দিয়ে মোবাইলফোনে ভোট দেয়ার প্রসঙ্গ। এসব নিয়েই বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শুরু হয় মারামারি। উভয়পক্ষের পরিবারের সকল সদস্যই সংঘর্ষে জড়িয়ে আহত হয়েছে। আহতদের কয়েকজন এ তথ্য দিলেও মারামারিতে আহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে আসেন নব নির্বাচিত কাউন্সিলর আবুল হোসেন। তিনি বলেন, দু পক্ষের কোনো পক্ষই আমার ভোট করেনি। ওদের পূর্ব বিরোধের জের ধরেই মারামারিতে রক্তাক্ত হয়েছে।