ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় দুইজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন, তিনজনকে ১০ বছর, একজনকে পাঁচবছর ও একজনকে তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহম্মদ সাইদ আহমেদ এই আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে ফয়সাল বিন নাঈম দীপ ও রেদোয়ানুল আজাদ রানাকে (পলাতক) ফাঁসির আদেশ, মাকসুদুল হাসান অনিককে যাবজ্জীবন, মোহম্মদ নাঈম শিকদার ওরফে ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ ও এহসানুল রেজা রুম্মানকে ১০ বছর কারাদন্ডাদেশ, মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানীকে পাঁচবছর ও সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার ও প্রকাশদের ওপর হামলা ও হত্যায় ঘটনায় এটাই প্রথম রায়। আসামিপক্ষে শুনানি করেন পিএম আকবর ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মাহবুবুর রহমান।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুরের পল্লবীতে নিজ বাসার সামনে রাজীবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পরদিন মামলা করেন তার বাবা নাজিমউদ্দিন। মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানিকে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে একই বছরের ২০ আগস্ট ও বাকিদের ১০ মার্চ গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১৩ সালের ১০ মার্চ রাজীব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্র ফয়সাল বিন নাঈম দ্বীপ, এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ ঢাকার সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৫৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করেন।