কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৪৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) উদ্যোগে ৮৭তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে ৪৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) প্রশিক্ষণ মাঠে এ ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন বিজিবি যশোর বিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল হ্লা হেন মং, ৪৭ বিজিরি অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, ৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান ও ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম তাজ।
রিক্রুট ব্যাচের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। কুচকাওয়াজ পরিচালনা করেন ৪৭ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মেহেদী হাসান। এ সময়ে ফায়ারিং এ রেজাউল ইসলাম, সঙ্গীন যুদ্ধে মামুনুর রশিদ, কুচকাওয়াজে মাসুম বিল্লাহ, শারীরিক উৎকর্ষে আইনুল হক ও সর্ব বিষয়ে আলী হোসেন শ্রেষ্ঠ রিক্রুট নির্বাচিত হওয়ায় পুরস্কৃত করা হয়। কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিবি যশোর রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘৭১ সালে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামে তদানীন্তন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস’র (ইপিআর) বীর সৈনিকরা সর্বপ্রথম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে। পরবর্তীতে দেশের বাকি জনসাধারণ ও ছাত্রসমাজ সশস্ত্র বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে। এ যুদ্ধে ত্যাগের মহামন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ বাহিনীর ৮শ’ সদস্য জীবন উৎসর্গ করে এক কালজয়ী ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তন্মধ্যে দুজন বীরত্বপূর্ণ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। কিন্তু ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তদানীন্তন বিডিআর’র কিছু বিপথগামী সৈনিক এ বীরত্বগাথা ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছে। যার ফলে এ বাহিনীর নাম পরিবর্তন, নতুন আইনসহ সকল স্তরে পরিবর্তন করা হয়েছে। দেশ মাতৃকার জন্য এ বাহিনীর যে সকল সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশবাসীর স্মৃতির মণিকোঠায় তারা অনন্তকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি নবীন সদস্যদের সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে উজ্জীবিত হয়ে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।