চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে উপচেপাড়া শিশুরোগী

কামরুজ্জামান বেল্টু: চুয়াডাঙ্গায় শিশুদের মধ্যে রোটাভাইরাসে শিশু ডায়ারিয়া আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। শীতে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত তো হচ্ছেই। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো দিনাজপুরে ৭ আর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীত অনুভুত হয়। তবে দিনে ঝলমলে রোদ ছোট-বড় সকলকেই দিয়েছে স্বস্তি। যদিও রোটা ভাইরাস সুযোগ বুঝে ঠাঁই নিয়েছে বহু শিশুর শরীরে।
গত এক সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা দেখে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, যেহেতু রোটা ভাইরাস শিশুর শরীরে একবার ঢুকলে তা আর তাড়ানো যায় না, সেহেতু এ ভাইরাস সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি দরকার।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডেরই বেহাল দশা। শিশুদের জন্য যেমন নেই শিশু ডায়রিয়া রোগী রাখার পৃথক স্থান, তেমনই রোগীর উপচেপড়া ভিড়। যে ওয়ার্ডে ১৪টি শয্যা, সেই শিশু ওয়ার্ডে গতকাল ভর্তি শিশু রোগীর সংখ্যা ছিলো ৬৯। এর মধ্যে গতকালই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৪ শিশু। যার মধ্যে ২৪ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গতরাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এহসানুল হক মাসুম বলেছেন, শিশুদের মধ্যে রোটা ভাইরাস জনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কেন এ ভাইরাস শিশুর শরীরে ঢোকে? এ প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক বলেছেন, মূলত বড়দের অসতর্কতাই এ জন্য দায়ী। একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করলেই এ ভাইরাস থেকে শিশুদের রক্ষা করা সম্ভব। নোংরা পাত্র, নোংরা পোশাক ও নোংরা হাতে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে ১৪১, এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১০৭ শিশু। গতকালই ভর্তি হয়েছে ৪৪ শিশু। ২৪ শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত। বাকি শিশুদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রন্ত।