উজ্জ্বল মাসুদ/কামরুজ্জামান বেল্টু: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জোর প্রচার প্রচারণায় ৪ জনের নামই ইতোমধ্যে উঠে এসেছে আলোচনায়। এরা হলেন, বর্তমান মেয়র বিএনপি মনোনীত হাজি নোয়াব আলী। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ধানের শীষ প্রতীক, আওয়ামী লীগ মনোনীত নাসির উদ্দিন, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদুর রহমান ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জগ প্রতীক নিয়ে ও জাহাঙ্গির আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খেজুরগাছ প্রতীক নিয়ে।
৪ প্রার্থী মনোনয়ন দাখিলের সময় যে হলফনামা দাখিল করেছেন, তাতে পাওয়া গেছে প্রাথীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। নির্বাচন কমিশনে পেশকৃত হলফনামায় ৪ মেয়র প্রার্থীর সম্ভাব্য ব্যয় দেখানো হয়েছে মোট ৬ লাখ ৮১ হাজার ২শ।
হলফনামায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র হাজি নোয়াব আলীর নির্বাচনী সম্ভাব্য ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে পোস্টার ৬০ হাজার টাকা, নির্বাচনী ক্যাম্প খরচ ৩৩ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় ক্যাম্প ১৬ হাজার টাকা, প্রার্থীর যাতায়াত খরচ ২৫ হাজার টাকা, ঘরোয়া বৈঠক বা সভা বাবদ ৭ হাজার টাকা, লিফলেট খরচ ১ হাজার ৫শ টাকা, হ্যান্ডবিল খরচ ৯শ টাকা, ব্যানার খরচ ৮ হাজার ১শ টাকা, পথসভা খরচ ৯ হাজার টাকা, মাইকিং খরচ ৬ হাজার টাকা, প্রতীক খরচ ২ হাজার টাকা, অফিস আপ্যায়ন ৭ হাজার টাকা, কর্মী বাবদ ৯শ টাকা, অন্যান্য ২৩ হাজার ৬শ টাকা। মোট সম্ভাব্য ব্যয় ২ লাখ ৯ হাজার ৮শ টাকা। সম্ভাব্য এ ব্যয়ের জন্য সম্ভাব্য আয়ের খাতে রেখেছেন নিজের ব্যবসার ২ লাখ টাকা। প্রার্থী হাজি নোয়াব আলীর বার্ষিক আয়ের উৎস ব্যবসা খাতে ১ লাখ ২ হাজার ৫শ টাকা, পৌরসভার সম্মানি ভাতা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, কৃষি খাত ৪০ হাজার টাকা, নগদ অর্থ ২৪ লাখ ২৮ হাজার ৫শ টাকা। এছাড়া তার দায়-দেনা রয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রার্থী অষ্টম শ্রেণি পাস।
আওয়ামী লীগ প্রাথী নাসির উদ্দিনের সম্ভাব্য ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে পোস্টার ৩০ হাজার টাকা, নির্বাচনী ক্যাম্প ১৯ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় ক্যাম্প ৭ হাজার টাকা, লিফলেট ৪৫ হাজার টাকা, ডিজিটাল ব্যানার ৬ হাজার টাকা, পথসভা ৫ হাজার টাকা, মাইকিং ১১ হাজার টাকা, প্রতীক ৫ হাজার টাকা, আপ্যায়ন ৩৭ হাজার টাকা, কর্মী বাবদ ১০ হাজার টাকা। মোট সম্ভব্য ব্যয় ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। প্রার্থীর এ ব্যয়ের জন্য আয়ের খাত দেখানো হয়েছে, নিজ আয় থেকে প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ ১ লাখ টাকা। প্রার্থীর বার্ষিক আয় কৃষি খাত থেকে ৪০ হাজার টাকা। বাড়ি অ্যাপার্টমেন্ট দোকান ভাড়া বাবদ ১৪ হাজার টাকা, নগদ অর্থ ১০ হাজার টাকা ও ব্যাংকে ৬৮ হাজার ৩শ টাকা। এছাড়া প্রার্থীকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তার ভাই নজরুল ইসলাম দেবেন ১ লাখ টাকা। প্রার্থী বি.কম, বি.পি.এড পাস।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদুর রহমানের সম্ভাব্য ব্যয় দেখানো হয়েছে পোস্টার খরচ ৩০ হাজার টাকা, নির্বাচনী ক্যাম্প খরচ ২০ হাজার টাকা, যাতায়াত খরচ ১৫ হাজার টাকা, ঘরোয়া বৈঠক ৫ হাজার টাকা, লিফলেট ৫ হাজার ৪শ টাকা, হ্যান্ডবিল ৫ হাজার ৪শ টাকা, ব্যনার ১৫ হাজার টাকা, মাইকিং ১২ হাজার, অফিস আপ্যায়ন ৭ হাজার ৫শ টাকা। মোট সম্ভাব্য ব্যয় ১ লাখ ৯০ হাজার ৩শ টাকা। সম্ভাব্য এ ব্যয়ের জন্য সম্ভাব্য আয়ের খাত হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, নিজের আয় চাকরি থেকে ১ লাখ টাকা। প্রার্থীর বার্ষিক আয় নিজ পেশা থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার ৯শ ৪৮ টাকা, কৃষি খাত ৩২ হাজার টাকা, নগদ অর্থ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া ধার হিসেবে আব্দুল আলিম দেবেন ২৫ হাজার টাকা ও আব্দুল মাবুদ দেবেন ২৫ হাজার টাকা। দুজনেই সম্পর্কে ভাই। এছাড়া ধার হিসেবে আরও ৩০ হাজার টাকা দেবেন জীবননগর কোর্টপাড়ার গোলাম রসুল। এবং স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে ২০ হাজার টাকা দেবেন প্রার্থীর স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন। প্রার্থী কামিল পাস।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম তার সম্ভাব্য ব্যয় দেখানো হয়েছে পোস্টার ১০ হাজার টাকা, নির্বাচনী ক্যাম্প খরচ ১০ হাজার, যাতায়াত খরচ ১৫ হাজার টাকা, লিফলেট ৫ হাজার, হ্যান্ডবিল খরচ ৬ হাজার টাকা, ব্যানার খরচ ৭ হাজার টাকা, ডিজিটাল ব্যানার ৭ হাজার ৫শ টাকা, মাইকিং ১৫ হাজার ৬শ টাকা, অফিস আপ্যায়ন ৭ হাজার টাকা, কর্মী বাবদ ১৫ হাজার টাকা। মোট সম্ভাব্য ব্যয় ৯৮ হাজার ১শ টাকা। ব্যয়ের জন্য আয়ের খাতে রয়েছে নিজের চাতালের ব্যবসা থেকে আয় ৯৮ হাজার ১শ টাকা, বার্ষিক আয়ের উৎসসমূহের মধ্যে রয়েছে ব্যবসায় ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, নগদ অর্থ ১০ হাজার টাকা ও ব্যাংকে আছে ২ লাখ টাকা। প্রার্থী অষ্টম শ্রেণি পাস।