হাসেম রেজা: কার্পাসডাঙ্গা-কুড়–লগাছি ইউনিয়ন থেকে বিলুপ্তপ্রায় কলুর ঘানি। কলু সম্প্রদায় আজ আর তেমন নেই। সময়ের বিবর্তন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে তারা পেশা বদল করেছেন। তাই চোখে পড়ে না কলুর ঘানিও। এক সময় দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা-কুড়–লগাছি ইউনিয়নের প্রায় গ্রামেই কলু সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করতো। তাদের পেশাই ছিলো সরিষা থেকে তেল উৎপন্ন করা এবং গ্রামে গ্রামে ফেরি করে তা বিক্রি করা। গ্রামের গৃহস্থরা কলু বাড়িতে গিয়ে সরিষা দিয়ে আসতো। আর কলুরা কাঠের তৈরি গাছে সরিষা ঢেলে একটি গরু-বলদ বা ঘোড়া দিয়ে ঘানি টেনে তেল উৎপন্ন করতো। এতে কলুদের যেমন লাভ হতো আবার গৃহস্থ বা সরিষার মালিকও পেতো খাঁটি তেল। বাপ-দাদার এ পেশা ছেড়ে লাভজনক অন্য পেশায় চলে যাওয়ায় কলুর ঘানি আজ বিলুপ্তপ্রায়। তবুও জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে এখনো বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে এ পেশাকে ধরে রেখেছেন কেউ কেউ। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা-কুড়–লগাছি ইউনিয়নের কুড়–লগাছি দক্ষির্ণপাড়া গ্রামের ফুলবাস জানান, পঞ্চাশ থেকে ষাট বছর ধরে আমরা এ পেশার সাথে জড়িত। আগে আমার বাবা তা করতেন। বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমরা এ কাজ করে আসছি। তবে শুধু এ পেশার ওপর নির্ভর করে টিকে থাকা এখন আর কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।