দেশে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে। এগিয়েছে বিভিন্ন সূচকে। ১৬ বছরে প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন সূচকে উন্নতির ছবি মেলে ধরেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে ভর্তির হার যেমন বেড়েছে, তেমনই প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার হারও বেড়েছে। আর লিঙ্গ বৈষম্য? তাতেও এসেছে সাফল্যেরই সমতা। শিক্ষার মান? তাতেও জাগিয়েছে আশা।
১৯৯৮ সালে যার হার ছিলো ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে তার হার দাঁড়িয়েছে ৯২ শতাংশে। প্রতিবেদনে শিক্ষকদের যোগ্যতা প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে যেখানে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষকের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রি ছিলো, ২০১৪ সালে তা এসেছে ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই হার ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ নারী শিক্ষক রয়েছেন। ১৬ বছর আগে এই হার ছিলো অর্ধেক, অর্থাৎ ৩২ শতাংশ।
উন্নয়নের অন্যতম সূচক শিক্ষা। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব ব্যাংক সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তুমুল গতিতে দুস্তর পথ অতিক্রম করেছে। শিক্ষায় অগ্রযাত্রা ও সমতা অর্জনে সাফল্য অনস্বীকার্য। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারলে উন্নয়নের শিখরে পৌছুতে কতোক্ষণ?