নতুন প্রজন্মের স্বস্তির বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস : মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার অঙ্গীকার

????????????????????????????????????

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: জঙ্গিবাদ নির্মূল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানের মধ্যদিয়ে জাতি গতকাল ৪৫তম বিজয় দিবস পালন করলো। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ নতমস্তকে শ্রদ্ধা জানালো দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন মঞ্চে শিল্পীদের গানে, কবিতার পংক্তিমালায়, নৃত্যের ঝংকারে মিশে ছিলো বিজয়ের আনন্দ। সমৃদ্ধ দেশ গড়ার অঙ্গীকার এবং যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার দাবি। নতুন রূপে ও চেতনায় এবার বিজয় দিবস পালন করলো দেশবাসী। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর ১৬ ডিসেম্বরের ভোরের সূর্য যেন স্বস্তি ও দায়মুক্ত বাংলাদেশের বার্তা নিয়েই উঠেছে। মাত্র ২৩ দিন আগে দু শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ একাত্তরের ঘাতকদের বিচার দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ায় এবারের বিজয় দিবসে স্বস্তি ও প্রশান্তির হাসি এবং রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে যেন একাত্তরের মতোই জেগে উঠেছিলো গোটা জাতি। একাত্তরের পর বিজয়ের এতো আনন্দ আর নতুন প্রজন্মের স্বস্তির বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস অতীতে আর দেখা যায়নি বলেও অভিমত অনেকের। সবার হাতে ছিলো ফুল, আর কণ্ঠে ছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার।
চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা করা হয়। এছাড়াও সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা এলাকার সকল সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমুহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়স্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ, হলদে পাখি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দল, ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বেগম সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এরপর পাইলট করপোরাল শাহীন ও সার্জেন্ট ফরহাদ গার্ড অব অনারের মাধ্যমে এবং প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই মো. জামশেদ আলীর চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত সকলের উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রাণবন্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো নিপীড়িত-নির্যাতিত এ দেশটি যেন স্নেহ-প্রেম প্রীতির আবহে পূর্ণ হয়ে সুস্থ মানবতার আবাসভূমি হয়ে উঠতে পারে এবং সেই পরিবেশে বেড়ে উঠে নুতুন প্রজন্ম যেন পরিপূর্ণতার আশীবার্দ মাথায় নিয়ে বিশ্বময় বিশ্বমানবতার জয়গানে মুখর হয়ে উঠতে পারে।
ব্ক্তব্য শেষে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠিত শরীরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
মার্চপাস্ট বিভাগে ‘ক’ গ্রুপে ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশু সদন চুয়াডাঙ্গা, ২য় গার্লস গাইড ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড সরকারি বালিকা বিদ্যালয়। ‘খ’ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে ক্লাসিক মডেল একাডেমি, ২য় স্থান ফুলকুড়ি শিশু বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে বর্ণমালা কিন্ডার গার্টেন। শরীর চর্চা প্রদর্শনীতে ‘ক’ বিভাগের ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশুসদন, ২য় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, এবং হাজরাহাটি-তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ‘খ’ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে ঝিলিক কিন্ডার গার্টেন, ২য় স্থান অধিকার করে সরকারি শিশু পরিবার এবং ৩য় স্থান অধিকার করে জেবুন্নেছা স্কুল অব এডুকেশন।
শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মার্চপাস্টে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সান্ত্বনা পুরস্কার ও ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনডিসি মুনিবুর রহমান।
বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক সাইদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান। অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফের প্রাণবন্তু উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট নুরুল ইসলাম মালিকসহ বাঙালী জাতির শেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা।
অলোচনা সভার প্রধান অতিথী চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য উত্তরসুরি প্রধারমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিনবদলের পথ ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী সেই পরাজিত শক্তিদের অনেকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বাকিদের ফাঁসি কার্যকর করার মাধ্যদিয়ে দেশকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে। একই সাথে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের আবারো ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে বাঙালি জাতির বেঈমান দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে।
আলোচনাসভা শেষে চুয়াডাঙ্গার ১৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনাসহ সম্মাননা প্রদান করা হয়। হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শহীদ পরিবারের স্ত্রী-সন্তানদের শাড়ি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে ১৮জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে যাতায়াত খরচ দেয়া হয়।
বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে চুয়াডাঙ্গার প্রাক্তণ খেলোয়াড় বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ, মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম সোনালি অতীত একাদশ এবং জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন একাদশের অধিনায়ক ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, সহঅধিনায়ক ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা এবং পৌরসভা একাদশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন পৌর কাউন্সিলর শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার। তিনটি খেলাই গোলশূন্য ড্র হয়। খেলাগুলো পরিচালনা করেন নাজমুল হক শান্তি।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের আলোচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আঞ্জজুমান আরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মহিলা জেলা ক্রীড়া সদস্য কাবেরী করিম সুবর্ণা। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সম্পাদক সেলিনা খাতুন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা শিশু সদন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সকালে শিশু সদন, দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযোদ্ধা শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, মজিবুল মজিবুল হক মালিক মজু, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট, শহিদুল ইসলাম রতন, শামীম রেজা ডালিম, আবু জাফর মণ্টু, জেলা যুবদলের আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, রবিউল ইসলাম লিটন, আরিফুল পিণ্টু, আক্তারুজ্জামান আক্তার, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ তালহা, যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্সপার্টি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতাকর্মীরা সকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সভাপতি কমরেড সিরাজুল ইসলাম শেখ, সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনোয়ার হোসেন, মামুন অর রশিদ, জামাত আলী, আব্দুল মান্নাফ, ওয়াহেদ আলী আহসান আলী প্রমুখ। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জাকেরপার্টি বিজয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করে। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাকের পার্টির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান, বিভাগীয় সহসভাপতি মো. শফিউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমনান, পৌর শাখার সভাপতি খন্দকার নুর-এ রহমান লেলিন, কোষাধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বাচ্চ, থানা সভাপতি শফিউদ্দীন, ছাত্রফণ্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. সেলিম প্রমুখ। দোয়া করেন হযরত মাও. সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা শাখার পক্ষে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহীদ হাসান চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিভিল সার্জন আজিজুল রহমান। এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে র্যা লি ও আলোচনসভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান নান্নু মিয়া। সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষক মাহাবুবা খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি জাতীয় ও জেলা বিএনপি সদস্য হাজি রবিউল ইসলাম বাবলু দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রীন, পৌর বিএনপি সভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেকসহ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ৱ্যালিসহ শহীদ হাসান চত্বরে এসে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন।
ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহব্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীর। ডা. আফছার উদ্দিন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মাহাবুব ইসলাম সেলিম। আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নান্দবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যৌথভাবে ৱ্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করে। প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি রকিবুল হাসান। ভালাইপুর মোড়ে চিৎলা ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে মতবিনিয়সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগ নেতা তৌহিদুর রহমান ফকার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দিপু, আব্দুর রশীদ, ফটিক হোসেন, পাইলট, কাউছার আলী, সহিদুল ইসলাম, ওয়াসিম, এমদাদ, টিটু, আশিক ইকবাল প্রমুখ। ভালাইপুর ছাত্র সমাজের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন, কুইজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলুকদিয়া মুনলাইট প্রি-ক্যাডেট স্কুলের আয়োজনে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ৱ্যালি বের করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নুর ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকমণ্ডলী ও অভিভাবকবৃন্দ।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৱ্যালি বের করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন হাজি আব্দুল্লা শেখ, পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি আজিজুল হক অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবুতাহের বিশ্বাস, প্রতিষ্ঠাতা হাজি আব্দুল্লা শেখ, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলী, প্রধান শিক্ষক আবু সালেহসহ শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনাসভায় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাজাহান আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ ঘোষ। সরোজগঞ্জ এলাকায় মহান বিজয় পালন।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ডিঙ্গেদহ শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চেয়ারমম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান বিল্লাল, পদ্মবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, পদ্মবিলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস প্রমুখ। আঞ্চলিক বিজয় দিবস উদযাপন পরিষদ, পদ্মবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ডিঙ্গেদহ উদীচী শাখা, ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, ডিঙ্গেদহ দাখিল মাদরাসা ৱ্যালি বের করে।
বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিবসটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর ইউপির সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দিবসটি পালন করেছে। বদরগঞ্জ বাকি বিল্লাহ কামিল মাদরাসার হলরুমে আলোচনা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগের সদস্য হাজি শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, হেড মুহাদ্দিস মুহা, লুৎফুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মুহা. নুরুল আলম সিদ্দিকী ও প্রভাষক আবুল কাসেম। সকাল সাড়ে ৯টায় আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে শহীদ মিনারে পুষ্পামাল্য অর্পণ করাসহ বিজয় র্যা লি বের করা হয়। ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিজয় দিবসের র্যা লি বের করা হয়। র্যা লিতে অংশগ্রহণ করেন ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মহাসিন আলী, প্রধান শিক্ষক আহমেদ আলী, সহকারী শিক্ষক আব্দুল সামাদ .ডা. মশিউর রহমান ও সদস্য ইসমাইল হোসেন । এদিকে বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে একটি বিজয় র্যা লি বের করা হয়।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদদের মাজারে ও বধ্যভূমির বেদীতে পুষ্পস্তবক দেয়া ও সুরা ফাতেহা পাঠ করে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আলমডাঙ্গা পৌরসভা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গসংগঠন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব, স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের পক্ষ থেকে শহীদদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করা হয়। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে, আলমডাঙ্গা পৌরসভা পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ৬টায় শহরের রাস্তায় জাতীয় ও পৌরসভার পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সাড়ে ৭টায় মেয়র আলহাজ মীর মহিউদ্দিন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষক আনোয়ারুজ্জামান রাজা মাস্টার যৌথভাবে পৌর কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সাড়ে ৮টায় মেয়র মীর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে র্যা লি শহর প্রদক্ষিণ করে শহীদদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন। বিকেল ৩টায় পৌরসভা কর্তৃক পৌর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মেয়র মীর মহিউদ্দিন ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূর মোহাম্মদ জকুর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার শফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দার, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ডা. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সাবু, কমান্ডার জামাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক, সাবেক কমিশনার আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। বিকেলে আলমডাঙ্গা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। শেষে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মেয়র সকলকে পুরস্কৃত করেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে সকালে মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কমান্ডার সফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দার। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বেলা ১১টায় শহরে বিজয় র্যা লি বের করা হয়। কমান্ডার সফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দার, ডেপুটি কমান্ডার অহিমুদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শাহাবুদ্দীন আহমেদ সাবু, জামাল উদ্দীন কমান্ডার, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, নূর মোহাম্মদ জকু প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় র্যা লিতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা যোগদান করেন।
অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকেও পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকালে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান হাসান কাদির গনু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু, সদস্য শাহ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিদসহ দলীয় নেতাকর্মী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, সহসভাপতি মজিবর রহমান, সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, লুৎফর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, পৌর সভাপতি আবু মুসা, বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, আলম হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ পৌর যুবলীগ সভাপতি আব্দুল গাফফার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনাহার, যুবলীগ নেতা মনা, ডিটু, পিন্টু, ফারুক, মিজান, টগর, পিন্টু, বুলবুল, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি নয়ন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুল হক, সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, কাফি, হাসান, সোহাগ, ইছানুর প্রমুখ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ শহরে বিজয় র্যা লি বের করে। বিজয় র্যা লি শেষে দলীয় কার্যালয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দিনটি উপলক্ষে বিএনপির ২টি অংশ পৃথক পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে। টিলু গ্রুপ সকালে হাজিমোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শহীদদের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন। পরে বিএনপি নেতা মীর মহিউদ্দীন ও শহিদুল কাউনাইন টিলুর নেতৃত্বে শহরে বিজয় র্যা লি বের করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এমদাদুল হক ডাবু, জেলা বিএনপির সদস্য ইসরাফ হোসেন, নান্নু মিয়া, মীর ইসমাঈল হোসেন, বোরহান উদ্দিন, রেজাউল হক, আয়ুব হোসেন। জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় বিএনপি নেতা রেজাউল করিম, আমজাদ হোসেন, যুবদল নেতা মাগরিবুর রহমান ওহিদুল ইসলাম বাবু, আনোয়ার হোসেন জালাল, জাহাঙ্গীর কবির মুকুল, রোকনুজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।
অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপিও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, পৌর সভাপতি আনিচুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, ইলিয়াস আহমেদ সিদ্দিকী, কামরুজ্জামান বকুল, মিল্টন মল্লিক, মিন্টু, লালচাঁন প্রমুখ।
এছাড়া জেলা জাসদের অহ্বায়ক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এম সবেদ আলী, উপজেলা জাসদ সভাপতি গোলাম সরোয়ার মোল্লা, সিদ্দীকুর রহমান মাস্টার, মিরাজুল ইসলাম, ডালিম হোসেনের নেতৃত্বে বিজয় র্যা লিসহ শহীদদের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে শ্যামপুর হাইস্কুল মাঠে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে শ্যামপুর স্কুলমাঠে অনুষ্ঠিত সভায় সাবেক কুমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সদস্য আবু সিদ্দিক টগরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ পিন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগ নেতা ইকলুছুর রহমান, কুমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান টুটুল, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তপন। এছাড়াও আইনাল মেম্বার, বায়েজিদ মেম্বার, জমসেদ, সেলিম রেজা, খাইরুলসহ প্রত্যেক ওয়ার্ড যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। মুক্তিযোদ্ধা উত্তরসূরী, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পৃথকভাবে শহরে র্যা লি বের করে। র্যা লি শেষে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান- বিজয়োল্লাস অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিরা ওই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে। ‘অবাক বিজয়’ নামক ব্যানারে দলিত, হরিজন, দরিদ্র ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতাধিক শিশু শহরে বিজয় র্যা লি বের করে।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনসহ স্কুল-কলেজে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকালে বিজয় ৱ্যালি বের করে। উপস্থিত ছিলেন জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দিন, মতিয়ার রহমান, সালাউদ্দিন, ডাক্তার জাহান আলী, খলিলুর রহমান, মঈন উদ্দিন, রহিদুল, সোনা মিয়া, আলামিন, সাদ্দাম, আনারুল প্রমুখ। এছাড়া সৃজনী মাডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ, মুন্সিগঞ্জ একাডেমী, মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কর্মসূচি পালন করে।
কমলাপুর পিটিআই-তে দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা লিখন, চিত্রাঙ্কন, দেয়ালিকা প্রকাশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সুপারিনটেনডেন্ট মোল্যা শহীদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর মো, আব্দুল মান্নান, মুহা. আরিফ ও মো. হারুন অর রশীদ। প্রশিক্ষণার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে।
জামজামি প্রতিনিধি জানয়েছেন, জামজামি বাজারে ইউনিয়ন আ.লীগ অফিসে সকাল ৯টায় ১নং ওয়ার্ড আলীগের সভাপতি মো. সিরাজ মণ্ডলের সভাপতিত্বে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। যুবলীগ ইউনিয়নসহ সভাপতি মো. আক্কাস আলীর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন নাসিরুদ্দিন মেম্বার, সাবদুল হক ওলাই যুবলীগ নেতা লাল্টু রহমান, সাইদুর রহমান, মাহবুবুর রহমান সাবদুল হোসেন, হাবিবুর রহমান, আলাউদ্দিন, লাল্টু মণ্ডল প্রমুখ। এছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বিদ্যানুরাগীদের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও বর্ণাঢ্য র্্যালির আয়োজন করে জামজামি বাজার প্রতীভা একাডেমি। শিক্ষক-শিক্ষাথী ও সুধীজনদের অংশগ্রহণে রঙ-বেরঙ্গের ব্যানার ফেস্টুন সম্বলিত মহান বিজয় দিবসের এ র্্যালি একাডেমি চত্বর থেকে যাত্রা করে জামজামি ও ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক পরিক্রম শেষে প্রতীভা চত্বরে এসে শেষ হয়। সন্ধ্যায় এলাকার বাউলদের অংশগ্রহণে জামজামি ইউপি কমপ্লেক্স চত্বরের উম্মুক্ত মঞ্চে বাউল সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, সকালে আ.লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে র্যা লি বের করা হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেরুজ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করা হয়। দর্শনা পৌর আ.লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু। দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু, শফিকুল আলম, গোলাম ফারুক আরিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, এরশাদ আলী মাস্টার, মোজাহারুল ইসলাম, মোমিনুল ইসলাম, আ. রফিক কাবি, হাতেম মণ্ডল, জাহেরুল ইসলাম, মুকুল মিয়াজি, আ. রাজ্জাক, যুবলীগ নেতা আ. হান্নান ছোট, আজিজুর রহমান বাবু, শেখ আসলাম আলী তোতা, সাজাহান মোল্লা, আমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম হুকুম, খালিদ হাসান মিঠু, ইকবাল হোসেন, আজাদ, মামুন শাহ, ফয়সাল, ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ববি, নাহিদ পারভেজ, তোফাজ্জেল হোসেন তপু, আলামিন, প্রভাত প্রমুখ।
র্যা লিতে অংশ নেয়, আ.লীগ, বিএনপি, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, জাতীয় পাটি, দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়, দক্ষিণচাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বরামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন, অনির্বান থিয়েটার, গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার, দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতি, ছাত্রলীগ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, রামাযুসসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির সভাপতি শাওন তরফদার, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সাবু তরফদার, হাবিবুর রহমান বুলেট, আ. মোমিন, ইকবাল হোসেন, নুরু মিয়া প্রমুখ।
এ দিকে কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নসহ সকল শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে দিবসটি পালন করে। কেরুজ ক্লাব মাঠে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মুক্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে, তৈয়ব আলী, সূর্যসেনা, সবুজ, মোস্তাফিজ, মাসুদ, প্রিন্স। উপস্থিত ছিলেন, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মোস্তাফা কামাল, এডিএম মনোয়ারুল ইসলাম, সেলস অফিসার শেখ শাহবুদ্দিন, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ, রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, সভাপতি প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
দর্শনা মেমনগর শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সন্ধ্যায় আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, আ.লীগ নেতা আতিয়ার রহমান হাবু, মোমিনুল ইসলাম, মোজাহারুল ইসলাম, আ. রফিক কাবি, হাতেম মণ্ডল। উপস্থাপনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন ও ফয়সাল। পরে অনির্বাণ থিয়েটারের পরিবেশনায় নাটক ‘যিষ্ণুযারা’ মঞ্চস্থ হয়।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকালে হিজলগাড়ি ও বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো পতাকা উত্তোলন, র্যা লি, আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল। উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন মাস্টার, এসএমসি সদস্য রিজভী আহম্মেদ, জাহিদুল ইসলাম, শিক্ষক আজিজুল হক, আলী বাসার, আবুল হোসেন, শেফালি খাতুন, সাজেদুর রহমান, ওয়াজেদ আলি, আব্দুল কুদ্দুস, বিপুল হোসেন প্রমুখ।
অপর দিকে বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ, শিক্ষক আসাবুল হক, জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান, আ. রাজ্জাক, আশরাফুল আলম, খাদিজা খাতুন, অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম, আজিজুল হক মুন্সি, শফিউল আলম, জয়নাল আবেদীন, আবুল কাশেমসহ এলাকার সুধীজন।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে জীবননগর উপজেলায় ৪৫তম মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জীবননগর পাইলট হাইস্কুল ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, মাধবখালি সীমান্তে অবস্থিত শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, এতিমদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, অ্যাথলেটিক্স ও ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আওয়ামীগ কার্যালয় পতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন কর্মসূচি পালন করে।
সকাল ৯টায় জীবননগর পাইলট হাইস্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, জীবননগর পাইলট হাইস্কুল, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, আলিম মাদরাসা, শাপলকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশরাফুল মডেল স্কুল, পৌর কিন্ডার গার্টেন, প্রভাতী ল্যাবরেটরী স্কুল, ক্রিসেন্ট ইংলিশ স্কুল, হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী বয়েজ স্কাউট, তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, ইউএনও নুরুল হাফিজ ও ওসি হুমায়ুন কবির কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজ শেষে মনোজ্ঞ শরীর চর্চা প্রদর্শন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়। দলের সভাপতি গোলাম মোর্তূজা দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পচা। হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ মাও. আক্তারুজ্জামনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বাজার কমিটি, বহুমুখি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সড়াবাড়িয়া ফাতেহা নুর প্রি-ক্যাডেট স্কুলের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল ৯টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র্যা লি, ক্রীড়া ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ফুটবলমাঠে বাজার কমিটির সভাপতি মির্জ্জা হাকিবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে ও বহুমুখি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি মীর মকলেচুর রহমান টজো’র সভাপতিত্বে আলোচনাসভা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকালে নাটুদাহে আট শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আছির উদ্দিন। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও দামুড়হুদা মডেল থানার পক্ষ থেকে পূষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দামুড়হুদা স্টেডিয়ামে ফিতে কেটে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। তিনি এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অভিবাদন গ্রহণ এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্যারেড কমান্ডার দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আব্দুল বাকী সালাম গ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হালিম, মডেল থানার ওসি লিয়াকত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু প্রমুখ। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে।
দুপুরে উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয় এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ফুটবল প্রতিযোগিতা শেষে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। সন্ধ্যায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি ও বাউল শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শেষ হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সমবায় পরিদর্শক হারুন অর রশিদ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান।
কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাসমত আলী, নজরুল, যুবলীগ নেতা বিপু, ছাত্রলীগ নেতা ফারুক প্রমুখ। এছাড়াও সদাবরী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বুইচিতলা-বড়বলদিয়া দাখিল মাদরাসা, ইসলামী প্রি ক্যাডেটে, বিশ্বাস কিন্ডারগার্টেন, ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়ুলগাছি পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়ুলগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়ুলগাছি দাখিল মাদরাসা, চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস পালিন করেছে।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কার্পাসডাঙ্গায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শওকত আলী তরফদার জাতীয় ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল হক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
অপদিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়মী লীগের একাংশ আরামডাঙ্গা বটতলা মোড়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লুৎফর রহমান জাতীয় ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে সভাপতি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জাতীয় ও সাধারণ সম্পাদক সাইদ বিশ্বাস দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন, বিশ্বাস কিন্ডার গার্টেন, ইসলামিয়া প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড বেবি টিচিং সেন্টার, জাগরণীচক্র ফাউন্ডেশন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, আত্মবিশ্বাস, কুতুবপুর, তালসারী, নাটুদা, কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাযর্থ মর্যাদায় দিনটি উদযাপন করে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভোরে স্থানীয় শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের শুভ সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম সরকারি কলেজ মোড়স্থ শহীদ বেদীতে পূস্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হালিম, স্থানীয় রাজনীতিবীদ এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পূস্পমাল্য অর্পণ করেন। সকাল ৭টায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলীর নেতৃত্বে শহীদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তহমিনা আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম রসুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এছাড়াও সরকারি কলেজ মোড়স্থ শহীদ বেদী ও জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহাবুব আলম শান্তি, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক মাহফিজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, জেলা বাস্তুহারা লীগের সভাপতি ফিরোজ আলীর নেতৃত্বে বাস্তুহারা লীগের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নেতা মোসলেম আলী, আব্দুর রাজ্জাক, মামলত হোসেন, আব্দুল মান্নান, কুতুবউদ্দীন প্রমুখ।
সকাল ১০টায় জেলা বিএনপি’র কার্যালয় থেকে মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান, জেলা বিএনপি’র প্রধান উপদেষ্টা ইলিয়াস হোসেন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপি’র সহসাংগাঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু, দফতর সম্পাদক আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুমানা আহমেদ রুমা প্রমুখ।
সকাল সাড়ে ৮টায় মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়ান জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম। এ সময় তার পাশে ছিলেন পুলিশ সুপার হামিদুল আলম। পরে সেখানে পুলিশ-আনসার, রোভার, স্কাউট, কাব স্কাউট, গার্ল গাইডস, গার্ল ইন স্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ, ও ক্রীড়া প্রিতিযোগিতা এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমপি পত্নী সৈয়দা মোনালিসা, জেলা প্রশাসক পত্নী জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী লতিফা খাতুন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খায়রুল হাসান, (রাজস্ব) হেমায়েত হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুল হক, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসন উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ আসকার আলী, সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা শামিম আরা হীরা, প্রমুখ। বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। বেলা একটায় হাসপাতাল, এতিম খানা, ভবঘুরে কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়। বাদ জোহর ও দিনের সুবিধামত সময়ে মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় জাতির সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়। বিকেল সোয়া ৩ টায় মেহেরপুর শিশু একাডেমিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টায় মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের ও বিকেল ৪টায় মেহেরপুর স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ভৈরব-সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বরের সাহিত্য পত্রিকা ‘স্রোত’র ১৭০ তম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে সেখানে এক আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক নূরুল আহমেদ, সাংবাদিক রফিকুল-উল আলম, কবি ফজলুল হক সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভৈরব সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চত্বরের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান মেন্টু। পরে সেখানে কবিতা আবৃতি করা হয়। এর আগে শহীদদের স্মরণে সেখানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন: গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে সকাল ৬টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। পরে মু্ক্তিযোদ্ধা কমান্ড, গাংনী প্রেসক্লাব, উপজেলা প্রেসক্লাব, সিপিবি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অপর্ণ করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে কুচকাওয়াজ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে
মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের উদ্যোগে মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলন, বিজয় ৱ্যালি ও শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম ও জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান মুকুলসহ নেতৃবৃন্দ। ছাত্রলীগ ও প্রগতি ক্লাব এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। গাংনী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাসস্ট্যান্ডে পতাকা উত্তোলন শেষে বিজয় ৱ্যালি ও শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবুসহ নেতৃবৃন্দ। পরে নেতৃবৃন্দ সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এদিকে উপজেলা যুবলীগ কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ। গাংনী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনে করে দলীয় কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আল হেলাল। বিএনপি নেতা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ, জেলা বিএনপি সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাকসহ নেতৃবৃন্দ।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সূর্য উদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়েছে। ৭টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পূষ্পমাল্য অর্পণ করেনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল, মুজিবনগর থানা কাজী কামাল হোসেন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসু, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ, কৃষকলীগ, প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। ৯টায় উপজেলা মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা যৌথভাবে উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দীন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী কামাল হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ. জলিল। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ও ভিডিপি, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, কাব গার্লস গাইড। স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। ১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপত্বি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল, ওসি কাজী কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন। ২টায় সাংস্কৃতি ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। ৩টায় সুধী জন বনাম সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে সৌখিন ফুটবল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
আমঝুপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোল করেন সভাপতি মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত খোকনসহ দলীয় নেতাকর্মী। আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৱ্যালি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রথম প্রহরে হাইস্কুলের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচির শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবন সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় হাইস্কুলমাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবপ্রসাদ পাল। এ সময় পাশে ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবির হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. তাজুল ইসলাম। প্যারেড কমান্ডার ছিলেন এসআই মোস্তফা হোসেন। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ক্রীড়া অনুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। পুরস্কার বিতরণ ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের মাজারে ফাতেহা পাঠ, চিত্রাঙ্কন ও দেশাত্মবোধক গানের প্রতিযোগিতা ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ডাকবাংলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজে বিজয় দিবসের র্যা লি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনাত জেছমিন। বক্তব্য রাখেন প্রভাষক আব্দুল কাদের, মোদাচ্ছের, আহানুর আলম, আবুসালে প্রমুখ।
দৌলতপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গোয়ালগ্রাম কলেজে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। সকাল ১০টায় বিজয় র্যা লি শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক আনারুল ইসলাম, প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, প্রভাষক গোলাম মোস্তফা, প্রভাষক আসাদুজ্জামান প্রমুখ। শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সন্ধ্যায় তারাগুনিয়া দলীয় কার্যালয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ দোয়া মাহফিল পালন করে।

Leave a comment