স্কুলছাত্র শুভাশিষের মর্মান্তিক মৃত্যু : আটক ১

দর্শনা অফিস: বালি ভর্তি চলন্ত পাউয়ার ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে অকালে ঝরে গেলে তরতাজা স্কুলছাত্র কিশোরের প্রাণ। পাউয়ার ট্রলি ফেলে চালক চম্পট দিলেও জনতার হাতে পাকড়াও হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহী। গোপনে সমঝোতার মাধ্যমে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সমাধিস্থ করা হয়েছে শুভাশিষের মৃতদেহ। বাবা-মা ও স্বজনদের আকাশ ফাটা আর্তনাদে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না কেউ। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে পাগল প্রায় মা-বাবা। দর্শনা পৌর শহরের আজমপুর স-মিলপাড়ার ব্রজকিশোর পালের ছেলে দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র শুভাশিষ (১৪) গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বাজারে যাচ্ছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শুভাশিষ দর্শনা রেলবাজারের বটতলা চত্বরে পৌছুলে একজন মোটরসাইকেল আরোহী ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় শুভাশিষকে। এ সময় দর্শনা পুরাতন বাজারের দিকে বালি ভর্তি পাউয়ার ট্রলি নিয়ে যাচ্ছিলো দক্ষিণচাঁদপুর গ্যাং কোয়ার্টারপাড়ার হাবিবুর রহমান খোকার ছেলে মিয়াজান চলন্ত পাউয়ার ট্রলির সামনে ছিটকে পড়ে শুভাশিষ। নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাউয়ার ট্রলিচালক শুভাশিষকে পিষ্ট করে। ঘটনাস্থলেই শুভাশিষের মৃত্যু হলেও তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকসহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। ঘটনার সাথে সাথেই পোড়াদহের বড় আইলচারার গোলাম মোস্তফার ছেলে মোটরসাইকেল চালক আবু সাঈদকে পাকড়াও করে স্থানীয় জনতা। তাকে উত্তমমধ্যম দেয়ার আগেই খবর পেয়ে দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই ফেরদৌস ওয়াহিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাঈদকে গ্রেফতার করেন। সাঈদকে গ্রেফতারের পর নেয়া হয়েছে দামুড়হুদা থানায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের না করায় এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সাঈদ, তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং বালি ভর্তি পাউয়ার ট্রলি। সারাদিন কেটে গেলেও পুলিশ পাউয়ার ট্রলি চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে শুভাশিষের মৃতদেহ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে আনা হলে বাবা-মা ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে বাতাশ। গোটা এলাকা জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ পক্ষের মধ্যে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছিলো। রাতেই সমঝোতা হলে আজ সকালে দর্শনা পৌর মহাশ্মশানে শুভাশিষের শেষকৃত্ব সম্পন্ন করা হতে পারে। কোন প্রকার সমঝোতা না হলে শুভাশিষের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করতে পারে বলে শোনা গেছে।

Leave a comment