দর্শনা অফিস: আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দর্শনা পৌরসভার ৫ম নির্বাচন। দেশের ৩২৩ পৌরসভার মধ্যে মেয়াদ উত্তির্ণ ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগে ভাগেই অনেক প্রার্থীর প্রচারণা লক্ষ করা গেলেও নানা কারণে অনেকেই নেই মাঠে। শেষ পর্যন্ত দর্শনা পৌর মেয়র প্রার্থী পদে ৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে মাঠে। মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় শুরু থেকে মাঠ চাঙ্গা থাকলে মধ্যস্থানে মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা খানেকটা ঝিমিয়ে পড়েছিলো। সব ধরনের চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে এখন মেয়র প্রার্থীরাও পুরোদমে চালাচ্ছেন প্রচারভিযান। বড় দুটি দলের মধ্যে কিছুটা দ্বিধাদন্দ্ব থাকলেও গোপনে তা সমঝোতার চেষ্টা রয়েছে অব্যাহত। এদিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক ছবি সংবলিত ডিজিটাল বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলা হলেও পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হচ্ছে পৌর শহরের আনাচ-কানাচ। ১৯৯২ সালে ততকালীন দর্শনা ইউনিয়নকে বিভক্ত করে প্রতিষ্ঠিত হয় দর্শনা পৌরসভা। আলাদাভাবে গঠন করা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদ। ১৮/২০টি মহল্লা নিয়ে গঠিত দর্শনা পৌরসভা বিভিন্নভাবে ঐহিত্য মণ্ডিত। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বিএনপি নেতা বর্তমান মেয়র মহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান, আ.লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু, জামায়াত নেতা আশকার আলী, সাবেক যুবদল নেতা নাহারুল ইসলাম মাস্টার ও যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম সোহেল। দলীয় সিদ্ধান্ত সহ নানা কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাড়িয়েছেন আলী মুনসুর বাবু, নাহারুল ইসলাম মাস্টার ও সাইফুল ইসলাম সোহেল। ফলে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন আ.লীগ মনোনীত মতিয়ার রহমান, বিএনপি মনোনীত মহিদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশকার আলী। এবারের নির্বাচনে ৩ মেয়র প্রার্থীসহ সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন অবিরাম।