স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মুখে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দুটি হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ছেলেদের এবং আজ সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে মেয়েদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মশিউর রহমান বলেন, আগামী ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর স্নাতক পর্বে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করার জন্য শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি হল আছে। শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে ৫৫০ শতাধিক ছাত্র এবং শেখ হাসিনা হলে ৫০০ ছাত্রী থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছাত্রদের ওপর হামলা ও গ্রামবাসীকে উসকানি দেয়ার সাথে জড়িত অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী বদি-উজ-জামানকে বরখাস্তের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন। আজ বদি-উজ-জামান, গাড়িচালক সাহেব আলী ও কর্মচারী জাহিদ হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রক্টর মশিউর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন নাসির উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বদির বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদকব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলাও রয়েছে। তার বরখাস্তের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।