গাংনী প্রতিনিধি: রাজনও রাকিবের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মতোই মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের শিশু অন্তর হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। গতকাল রোববার দুপুরে বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমাবেশে ওই দাবি জানান তারা।
শিশু অন্তর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাওট সোলইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সমাবেশে যোগ দেন নারী পুরুষসহ সর্বস্তরের মানুষ। শিশু অন্তর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবি করেন সমাবেশে আগতরা। এ সময় অন্তরের বাবা কাফিরুল ইসলাম বলেন, রাজনও রাকিবের মতো আমার সন্তান হত্যাকরীদের দ্রুত ফাঁসি চাই। তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন বলেন, কতোটা নির্মম হৃদয়ের মানুষ হলে পিতামাতার বুক থেকে তার সন্তানকে কেড়ে নেয়া যায়। যিনি সন্তান হারা হয়েছেন তিনি বুঝতে পারেন সন্তান হারানোর বেদনা হৃদয়ে কতোটা শূণ্যতা সৃষ্টি করে। তার ছেলে অন্তর ও তার পরিবারের মতো এমন পরিণতি আর কারো যেন না হয় সেজন্য সবুজকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। সন্ত্রাসীরা কোনো দলের নয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, খারাপ লোক সবার জন্যই খারাপ। এরা কারো মঙ্গল করতে পারে না। এদেরকে সামাজিকভাবে বর্জন করে প্রতিরোধ করতে হবে। তবে আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তরের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার তাই করছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেলে অন্তরের লাশ দাফনের পর রাতেই তার মা সজিনা খাতুন বাদি হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সন্ত্রাসী সবুজকে প্রধান আসামি করে তার পিতামাতা ও খালা-খালুকে আসামি করা হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় খালা-খালুকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এখনো গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামি সবুজ ও তার পিতামাতা। সবুজের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবিতে শুক্রবার ও শনিবার গ্রামের প্রধান সড়কে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাওট গ্রামের সৌদি প্রবাসী কাফিরুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র অন্তরকে অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সবুজ হোসেন ও তার সহযোগীরা।