হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ২ মাস ধরে সরকারি ওষুধ বন্ধ রয়েছে। ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় গ্রামের সাধারণ মানুষ চিকিত্সা সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। ওষুধ না পেয়ে অনেক স্থানে রোগীদের হাতে ক্লিনিকের কর্মীরা লাঞ্ছিত হচ্ছেন। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দফতর থেকে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ১৭১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে হরিণাকুণ্ডুতে ২৩টি ক্লিনিক রয়েছে। কলেরা স্যালাইন ও মেট্রোনিডাজলসহ ২৯ আইটেমের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু প্রায় দুই মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন। কমিউনিটি হেলথ প্রভাইডারসহ অন্য কর্মীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।
উপজেলার শাখারীদহ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আসমা আক্তার জানান, ওষুধ না থাকায় চিকিত্সাসেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এখন রোগীদের কেবল পরামর্শ ছাড়া আর কিছুই দেয়া হচ্ছে না। ওই ক্লিনিকের আয়া পরিছন জানান, তাদের কোনো বেতন নেই। বিনা বেতনে কাজ করেন। এদিকে ওষুধ না থাকায় অনেক ক্লিনিকে হেলথ প্রভাইডাররা অনিয়মিত অফিসে আসছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম জানান, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক নামে সরকারের একটি প্রকল্প থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। অজ্ঞাত কারণে দেড় মাস ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, বিএমআরসি ভবন থেকে বছরের সব ওষুধ চার দফায় পাঠানো হয়। খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।