স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর ও শহরতলীতে চাঁদাবাজচক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মোবাইলফোনে খুনের হুমকির পাশাপাশি বাড়িতে বোমা সাদৃশ্য বস্তু রেখেও এরা আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছে। পুলিশে নালিশ করেও তেমন সাড়া মিলছে না। অবশ্য গোয়েন্দা পুলিশ গতকাল থেকে বাড়তি তৎপরতা শুরু করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, ছোট বড় ব্যবসায়ী পেশাজীবীর নিকট চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। মোবাইলফোনে ভীতিকর কথা বলে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হলেও এক পর্যায়ে দু এক হাজার টাকার জন্যই মরিয়া হয়ে উঠছে। টাকা দাও না হলে স্কুলের পথে সন্তানকে তুলে নেয়া হবে। বাড়িতে বোমা মেরে খুন করা হবে। এসব হুমকিতে গোপনে কেউ কেউ কিছু টাকা দিলেও পুলিশ চাঁদাবাজদের তেমন কারোরই টিকি ছুঁতে পারছে না। অবশ্য অভিযোগ রয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ খানিকটা হঠাত করেই যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। থানায় একটি জিডি করতে গেলেও টাকার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠার বিষয়টিও এখনও অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। চাঁদাবাজির বিষয়ে থানায় নালিশ করতে গেলে নানা অজুহাত সামনে দাঁড় করিয়ে জিডি করতেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এরই মাঝে গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার মিজানুর রহমানের বাড়ির উঠান থেকে লাল টেপ জড়ানো বোমাসাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বোমা উদ্ধারের সময় গৃহকর্তাসহ স্থানীয়রা বলেছে, সম্প্রতি এলাকার উটকো চাঁদাবাজ গ্যাং মোবাইলফোনে চাঁদা দাবি করে। ০১৭০৪০৫০০৬৯ নম্বর থেকে দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর এক পর্যায়ে বাড়ির উঠানে বোমা রেখে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। সকালে খবর পেয়ে থানা পুলিশ বোমাসাদৃশ্য একটি বস্তু উদ্ধার করে। বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মোবাইলফোনের সূত্র ধরে চাদাবাজচক্র আটকের সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা বলেছে, এলাকার মাঠে সন্ধ্যা হতে না হতেই বসে মদ, তাড়ি ও গাঁজার আসর। পুলিশি টহল জোরদার করা জরুরি।