স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসসহ দুজনের বিরুদ্ধে আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গণপূর্ত বিভাগের বৈদ্যুতিক কারিগর আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাদী চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ার বাসিন্দা গণপূর্তের বৈদ্যুতিক কারিগর আলমগীর হোসেন জেলা কারাগারে বৈদ্যুতিক কাজে কর্মরত অবস্থায় জেনারেটর রুমে নতুন ব্যাটারি স্থাপন করে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমোদন এবং উপসহকারী প্রকৌশলীর নির্দেশে পুরোনো ব্যাটারি ফেরত আনতে যান। এ সময় জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস জেলা কারাগারের সিপাহী মো. নাসরুলকে দিয়ে আলমগীরকে তার অফিসে ডেকে পাঠান ও পুরানো ব্যাটারি জেলারের বাসায় রাখার জন্য নাসরুলকে নির্দেশ দেন এবং আলমগীরকে গণপূর্ত বিভাগে চলে যেতে বলেন। ওই সময় আলমগীর পুরোনো ব্যাটারি গণপূর্ত বিভাগের ষ্টোরে জমা দেয়ার নির্দেশ আছে জেলারকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ঘাড় ধরে দেয়ালের সাথে চেপে রাখে এবং লাঠি দ্বারা পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। আলমগীর বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের জানালে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসতে বলেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চলে আসার সময় জেলার ও সিপাহী পুনরায় আলমগীরকে মারধর করে এবং আটকে রাখতে গেলে কয়েকজনের সহযোগিতায় ফিরে আসেন। এ ঘটনায় কোথাও অভিযোগ ও মামলা দায়ের করলে খুন করারও হুমকি দেয় আসামিরা। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে আগামী ৭ মার্চ। মামলার আইনজীবী মঈন উদ্দীন মঈনুল জানান, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিমকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।