আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত স্থগিত করতে বাধ্য হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল বেলা ১১টার দিকে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে শহরের চালপট্টিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা সে সময় দোকানপাট বন্ধ করলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হাসানের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। প্রথমে শহরের শাদাব্রিজ মোড়ের মিরাজুল ইসলামের চালের দোকানে পাটজাত মোড়কের পরিবর্তে প্লাস্টিকের মোড়ক ব্যবহার করায় ৩ হাজার টাকা ও চালপট্টির আব্দুর রহমানের দোকানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত একই অভিযোগে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। চালপট্টিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন চাল ব্যবসায়ীরা। সংবাদ পেয়ে ছুটে আসেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ওই সময় চাল ব্যবসায়ীরা সকল দোকান বন্ধ করে দেন। সৃষ্টি হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির। সরকারি নির্দেশ পালনের জন্যই এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে এমনভাবে বিষয়টি বোঝাতে চাইলেও তাতে কাজ হয়নি। কেন বিষয়টি পূর্বেই প্রশাসন মতবিনিময়সভা করে জানায়নি? এমন প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের। তবে প্রশাসন-ব্যবসায়ীদের এমন তিক্ত সম্পর্ককে অনেকেই শুভকর ভাবছেন না। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পাট অধিদফতরের মূখ্য পরিদর্শক সৈয়দ আলাউদ্দীন ও এসআই রফিক।