শুধু লাভের দিকে না তাকিয়ে ক্ষতিকর দিকটাও দেখা দরকার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বায়ো পেস্টিসাইড (ফেরোমন ফাঁদ) ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন বিষয়ে ‘ডিলার ট্রেনিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ হলে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বায়ো পেস্টিসাইড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি বায়োটেক, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড, সেবা লিমিটেড ও ক্যাটালিস্ট যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ী মো. তারিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক নির্মল কুমার দে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা খোন্দকার এনামুল কবীর, ইস্পাহানি এগ্রোর যশোর রিজিওন ম্যানেজার কৃষিবিদ আব্দুস সোবহান ও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাশুরুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্মল কুমার দে বলেন, বাজার থেকে আমরা সবজির নামে বিষ কিনে খাচ্ছি। বর্তমানে কৃষকরা সিম, কাকরোল ও বেগুনে যে কীটনাশক ব্যবহার করে তার ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে অনেক। এসব কীটনাশকে রয়েছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন। কীটনাশক স্প্রে করার পর ১৪ দিন পর্যন্ত টক্সিনের বিষক্রিয়া থাকে। সে ক্ষেত্রে বায়ো পেস্টিসাইড মানবদেহের জন্য কোনো ক্ষতি করে না। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনকে সামনে রেখে ইস্পাহানি বায়োটেক যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে স্বাগত জানায়। ডিলারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু লাভের দিকে না তাকিয়ে ক্ষতিকর দিকটাও দেখা দরকার।’
মোমেনা আক্তার সুইটির উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইস্পাহানি এগ্রোর মাকের্ট ডেভেলপমেন্ট অফিসার জাহিদ কামাল। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ইস্পাহানি বায়োটেকের এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং) মাহফুজুর রহমান।
খোন্দকার এনামুল কবীর বলেন, সৃষ্টিকর্তা প্রাকৃতিক ভারসাম্য দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীতে শত্রু পোকা যেমন আছে, তেমনি বন্ধু পোকাও রয়েছে। আমরা নির্বিচারে কীটনাশক ব্যবহারের মধ্যদিয়ে বন্ধুপোকা অর্থাৎ ভালোটাকেও শেষ করে দিচ্ছি। এজন্য ফেরোমন ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদেরকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এদিকে এর আগে গত রোববার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটিতে পানচাষিদের নিয়ে বায়ো পেস্টিসাইড ব্যবহারে ভালো পান উৎপাদন বিষয়ে এক মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Leave a comment