সর্বক্ষেত্রেই বাড়তি সতর্কতা ক্ষতির ঝুঁকি কমায়

পিতা-মাতা দূরের কথা পরিবারের কোনো সদস্যই চান না শিশুর অসুস্থতা। আর বিষপান? সেটা ভাবাও অবান্তর। এরপরও কেন শিশু হাতের নাগালে কীটনাশক, দানাদার বিষ পেয়ে মুখে দিয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়? অবশ্যই অসচেতনতা। তবে শত্রুতাও যে একেবারে থাকে না তা নয়। যারা শত্রুতা করে অন্যের শিশুসন্তানের ক্ষতি কামনা করে তাদের (অ)মানুষ বললেও ভুল বলা হয়।
চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বড়দের অসতর্কতায় শিশুর বিষপানের খবর প্রায়ই পত্রস্থ হয়। কখনো কখনো বলা হয় পিতা-মাতার অসতর্কতায়, কখনো বলা হয় বড়দের অসচেতনতার কারণে শিশু মৃত্যু শয্যায়। যখন যাই বলা হোক না কেন শিশুদের হাতের নাগালে ওষুধ, কীটনাশক, বিষ রাখা মানে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। অবশ্য এজন্য অনেকটা অসচেতনতাই দায়ী।
কোমল পানীয়র বোতলে ক্ষতিকর তরল পদার্থ রাখলে বড়রাই ভুল করে বসে। আর ছোটরা? এমনিতেই শিশুরা হয় কৌতূহলী। তারপর চকচকে মোড়ক হাতের নাগালে পেলে তা না বুঝেই মুখে দেয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। সে কারণেই বলা হয়, বড়দের ভুলের কারণে, বা অসচেতনতায় শিশুর করুণ দশা। অবশ্যই বড়দের সর্বক্ষেত্রেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন দরকার। তাতে ক্ষতির ঝুঁকি কমায়।